Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পলাতক আসামিদের ফেরাতে আইনজীবী নিয়োগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ছয় আসামীকে বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত ছয় পলাতক আসামীকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এক আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য ওই আইনজীবীর নাম প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি কার্যকর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর জন্যও সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ছয় পলাতক আসামীর সর্বশেষ সকল তথ্য সরকারের কাছে রয়েছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত পলাতক সকল হত্যাকারীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনী ও কূটনৈতিক তৎপরতা এখন চলমান রয়েছে।’
আসাদুজ্জামান আরো অবহিত করেন যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামী নূর চৌধুরীকে নীতিগতভাবে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য রাজী রয়েছে কানাডার সরকর। কিন্তু কানাডায় মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধ থাকায় তারা নূর চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর না করার নিশ্চয়তা চায়। তিনি বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত লে. কর্নেল (বরখাস্ত) এ এম রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ইতিবাচক উন্নতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা (ইন্টারপোল) বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে ২০০৯ সালে সংস্থার সকল দেশে পৃথকভাবে পলাতক হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ‘রেড নোটিস’ জারি করে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৮ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে গঠিত একটি টাস্কফোর্স এই ইস্যুতে কাজ করে যাচ্ছে। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামী কর্নেল (চাকরিচ্যুত) খন্দকার আবদুর রশিদ ও মেজর (অব.) নূর চৌধুরীকে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে দুটি আইনী প্রতিষ্ঠানকে নিযুক্ত করেছে। অন্যতম আত্মস্বীকৃত খুনি রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, যিনি এখন ভারতে অবস্থান করছে বলে মনে করা হয়, তাকেও ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অন্য তিন পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মধ্যে লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) শরিফুল হক ডালিম ও ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের অবস্থান সম্পর্কে কর্তৃৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত নয়। তবে অসমর্থিত সূত্র শরিফুল হক ডালিম ও আবদুল মাজেদ যথাক্রমে জিম্বাবুয়ে বা লিবিয়া এবং সেনেগালে বসবাস করছে বলে দাবি করছে।
এর আগে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার দায়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন এবং পলাতক ছয় আসামীসহ ১২ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শোক

২০ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ