Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করিডোরবিহীন সীমান্ত আসছে ভারতীয় গরু হারাচ্ছে রাজস্ব সরকার

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:১০ এএম, ৯ আগস্ট, ২০১৮

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর ও রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত গলিয়ে অবৈধভাবে আসছে ভারতীয় গরু। সরকারিভাবে করিডোর পদ্ধতি বন্ধ করে দেয়ায় পোয়াবারো হয়েছে কাস্টমসসহ একটি প্রতারক চক্রের। এরা পাতানো নিলামের মাধ্যমে কমমূল্যে গরু বিক্রি করে আবার সিন্ডিকেটের লোকজনের মাধ্যমে বেশি মূল্যে সেই গরু বিক্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছে। বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও দেখার কেউ নেই। ফলে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। জেলার ভরুঙ্গামারীতেই বেশি অনিয়ম হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট, ধলডাঙ্গা, ময়দান, শালঝোড়, ভাওয়ালগুড়ি, কেদার সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু পাচার করছে চোরাকারবারী। বিজিবির টহলে প্রতিনিয়ত ভারত থেকে আনা এসব গরু আটক করা হলেও উপজেলার জয়মনিরহাট কাস্টমসের একটি সিন্ডিকেটের কারণে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই প্রচারণা ছাড়াই সিন্ডিকেটের পাতানো নিলামে নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি দেখিয়ে পরে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে লাভের টাকা ভাগ-বাটোয়ার করে নিচ্ছে কাস্টমস ও সিন্ডিকেটের লোকজন। ফলে প্রতি নিলামে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। চলতি আগস্ট মাসে বাগভান্ডার, দিয়াডাঙ্গা ও ধলডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি ৩৪ টি গরু আটক করে। এসব গরু নিলাম করা হয় নামমাত্র মূল্যে। এছাড়াও গত ৩ আগস্ট কাস্টমসের সিন্ডিকেট বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্পে ৬টি বড় গরু মাত্র ১ লাখ ২৭ হাজার টাকায় এবং কাস্টমস ও সিন্ডিকেটের মতানৈক্যের কারণে ৫ আগস্ট ধলডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে ৭ টি মাঝারী গরু ভ্যাটসহ ৩ লাখ ১১ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি হয়। আবার সিন্ডিকেট করে ৬ আগস্ট সোমবার কোন প্রকার প্রচারণা ছাড়াই দিয়াডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে আটক ১৯ টি গরুর মধ্যে ৯ টি বড় গরু ভ্যাটসহ ২ লাখ ৬০ হাজার ২৯৫ টাকা নিলামে আলতাফ হোসেন নামে একজন কিনে ঐ স্থানেই তিনি ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকায় জনৈক আবু হানিফের নিকট বিক্রি করে ।
একটি সূত্র জানায়, কম মুল্যে নিলাম দেখিয়ে বেশী দামে বিক্রির পর টাকা কাস্টমস ও সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া হয়। কাস্টমস কর্তৃক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাতানো নিলামে গরু বিক্রির কারণে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
এ বিষয়ে জয়মনিরহাট শুল্ক গুদাম কর্মকর্তা নীহার রঞ্জন বারুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে কাস্টমস সুপার সিদ্দিকুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এলাকাবাসীর দাবী দীর্ঘদিন থেকে কাস্টম সুপার সিদ্দিকুর রহমান ও নীহার রঞ্জন বারুরী কোন প্রচারণা ছাড়াই বিভিন্ন ক্যাম্পে এমনকি রাতের আধারেও নিলাম দেয়ায় সিন্ডিকেট ব্যতিত কেউ অংশ গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে না। সরকারি রাজস্ব বাড়াতে অনতিবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে উন্মুক্ত নিলামের ব্যবস্থা করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।



 

Show all comments
  • mizanur rahman ৯ আগস্ট, ২০১৮, ৯:২২ এএম says : 1
    আপনাদের পত্রিকায় ভাল তাজা খবর পাওয়া যায় এ জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ, তবে ইংরেজী, বাংলা, তারিখের সাথে আরবী তারিখ টা সংযুক্ত করার জন্য অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গরু

২৪ জুন, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ