Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উ. কোরিয়ায় বহাল থাকছে নিষেধাজ্ঞা

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কোনও পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, আপাতত দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কোনও পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। জুন মাসে দুই দেশের শীর্ষ নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প আর কিম জং উন এক ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে উ. কোরীয় নিরস্ত্রীকরণের বিপরীতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিলে সম্মত হন। মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জন বোল্টন জানান, উত্তর কোরিয়া নিরস্ত্র্রীকরণের কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পথে যাবে তারা। জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় নেতাই পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরেণ কাজ করতে প্রতিশ্রুতি দেন। এর পরপরই ট্রাম্প জানান উত্তর কোরিয়া এখন আর পারমাণবিক হুমকি নয়। তবে এই বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার কোনও সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ও প্রতিশ্রুতি আদায় করতে না পারায় দেশের সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। মঙ্গলবার বোল্টন জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও কিমের ১২ জুনের বৈঠকের পর সিঙ্গাপুর ঘোষণা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোকে আমরা অপরিহার্য বিবেচনা করি, উত্তর কোরিয়া এখনও তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। আসলে আমাদের মধ্যে আলোচনা প্রয়োজন। উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে পদক্ষেপ দরকার।’ নতুন কোনও বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বোল্টন বলেন, কিমকে পাঠানো সা¤প্রতিক চিঠিতে ট্রাম্প পম্পেওকে আবারও উত্তর কোরিয়ায় পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া তিনি নিজেও যেকোনও সময় কিমের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। গত রবিবার সিঙ্গাপুরে এশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের সময় উত্তর কোরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়োং হো’র হাতে ওই চিঠি তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সাক্ষাৎকালে রি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার বিষয়ে ‘ভয়ংকর অধৈর্য্য’ দেখিয়েছে। বৈঠকে স্বাক্ষরিত সমঝোতার পরও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্লুটোনিয়াম উৎপাদন, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তারপরও দেশটিকে কতদিন সময় দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র; এমন প্রশ্নের জবাবে বোল্টন বলেন, এটা উত্তর কোরিয়ার মনোভাবের ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, ‘যদি তারা পরমাণু অস্ত্র ত্যাগের কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেয়, তারা তা এক বছরের মধ্যে করতে পারে। এই কৌশলগত সিদ্ধান্ত হয়েছে আমরা এমন প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করছি।’ ফক্স নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিষেধাজ্ঞা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ