বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে দেদার চলছে নিষিদ্ধ লেগুনাসহ মারুতি, মেক্সি, ইমা, সুজকি ও ফিটনেসহীন ‘দরজাখোলা মাইক্রোবাস’। ফলে বাড়ছে ঝুঁকি ও দুর্ঘটনা। নিষিদ্ধ ও ফিটনেসহীন এসকল যানবাহনে সাধারণ যাত্রীদের জীবনচাকা ঘুরছে মৃত্যু ঝুঁকিতে। নেই প্রশাসনের নজরদারি। সারাদেশ জুড়ে চলমান ট্রাফিক সপ্তাহেও চলাচলের ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ছাড়াই ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন চালকের হাত ধরে চলাচল করছে লেগুনা। কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের দাবি, কর্তব্যরত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই লেগুনা ও এধরণের নিষিদ্ধ যানবাহন মহাসড়কে চলাচল করছে। আর চালকদের দাবি, সমিতির মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরে চাঁদা দিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করা হয়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির গৌরিপুর থেকে ক্যান্টনমেন্ট, আলেখারচর, পদুয়ারবাজার এবং শহরের শাসনগাছা এলাকা পর্যন্ত হিউম্যান হলার-লেগুনা, লক্কর ঝক্কর মাইক্রোবাস, মেক্সি এবং লেগুনার আদলে মিনি পিকআপভ্যানেও যাত্রী পরিবহন করছে। এধরণের যানবাহনের ৪০ ভাগ চালকরা নামমাত্র ড্রাইভিং শিখে লাইসেন্স ছাড়াই বসেছে চালকের আসনে। আবার হেলপার হিসেবেও যাত্রী উঠানো, নামানো ও ভাড়া আদায়ের কাজটি করছে শিশুরা। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ রয়েছে লেগুনা, মারুতিসহ স্বল্পগতির গাড়ী মহাসড়কে চলতে পারবে না। অথচ থানা ও হাইওয়ে পুলিশের চোখের সামনে দিয়েই যাত্রী ওঠানামা করে নির্বিঘেœ চলাচল করছে শতশত লেগুনা। চলমান ট্রাফিক সপ্তাহেও লেগুনার চলাচল থেমে নেই। লেগুনার বেশ ক’জন মালিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়ক থেকে সিএনজি অটোরিকশা তুলে দেয়ার পর অনেকেই পুরাতন মাইক্রোবাস কেটে লেগুনা আদলের গাড়ি তৈরি করে রাস্তায় নামিয়েছে। আবার কেউ কেউ মেক্সি, সুজকি কিনে যাত্রী পরিবহন বানিয়েছে। এধরণের যানবাহন চলাচলে যাতে আইনি কোন সমস্যায় পড়তে না হয়, এজন্য সমিতিও গড়ে তোলা হয়েছে। সমিতির মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টরে চাঁদাও দেয়া হয় এবং সবকিছু ম্যানেজ করা হয়। বর্তমানে মহাসড়কে লেগুনার সংখ্যা বেড়েছে।
কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নজরুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, মহাসড়কে লেগুনাসহ এধরণের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও চলছে। তবে হাইওয়েতে কর্তব্যরত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি করেই চলছে। গাড়ী চলাচল ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গাড়ী চলাচল বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের কেন্দ্রিয় নির্বাহী সদস্য ও কুমিল্লার উপদেষ্টা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নীতিশ সাহা বলেন, মহাসড়কে যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে মহাসড়ক থেকে লেগুনা তুলে দেয়ার জন্য এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত। কেবল তাই নয়, সবধরণের যানবাহন সড়কে চলাচলের ফিটনেস সার্টিফিকেট, ইনস্যুরেন্সও রুট পারমিটের বৈধতা নিশ্চিত করাটাও জরুরি হয়ে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।