Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

প্রতি মুহূর্তে মৃত্যু ঝুঁকি মাথায় পাঠদান চলছে আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ৬ কক্ষবিশিষ্ট পাকা ভবনটিতে ফাটল এবং ছাদের পলেস্তারা খুলে শিক্ষার্থীদের গায়ে ও মাথায় পড়ছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে সবাই। এরপরও সবকিছু মাথায় নিয়েই ক্লাস করছে প্রায় ৩২৭ জন শিক্ষার্থী।

জানা যায়, ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ১৯৯৪ সালে একটি নতুন পাকা ভবন নির্মাণ করে। নির্মাণের ২৫ বছর পার হবার পর ছাদের পলেস্তরা খুলে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের গায়ে এবং মাথায় পড়ছে। ফলে ওই ভবনে সীমাহীন কষ্ট ও আতঙ্কে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র সোহাগ ও শুভ জানায়, ক্লাশে ঢুকতে আমাদের লাগে। এর আগে বেশ কয়েকবার পলেস্তরা খুলে আমাদের শরীরে পড়েছে। এ অবস্থার জন্য অনেকে ক্লাসে আসতে চায় না। ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রের কয়েকজন অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ে এমন অবস্থায় ছেলেকে পাঠালে ভয় পেতে হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহানারা খাতুন বলেন, ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টিতে আশপাশের ১৭ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিইসি পরিক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু শ্রেণীকক্ষ সঙ্কটের কারণে গত কয়েক বছর কৈকুড়ি বিদ্যালয়ে সাব-সেন্টার করে ৭টি বিদ্যালয়ের পিইসি পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে এ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি শ্রেণিতে শাখা করা প্রয়োজন। কিন্তু শ্রেণি কক্ষ সঙ্কটের কারনে তা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যালয়ে জন্য একটি নতুন দ্বিতল একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন।

বিদ্যালটির সভাপতি সুলতান আহম্মেদ জানান, বিদ্যালয় মাঠের উত্তর পাশে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট এবং দক্ষিণ পাশে ২ কক্ষ বিশিষ্ট আলাদা ভবন হওয়ায় রোদ ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষকদের ক্লাসে যেতে হয়। এছাড়া একদিকে শে্িরণকক্ষ সঙ্কট অপরদিকে পলেস্তারা খুলে পড়ছে এতে আমরা মহাবিপাকে পড়েছি। বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান ভালো হলেও বর্তমানে শ্রেণিকক্ষের এমন অবস্থায় পাঠদানে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

আদমদীঘি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সামছুল ইসলাম দেওয়ান জানান, বিষয়টি জানার পর উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসারকে বিদ্যালয় পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।

 



 

Show all comments
  • Nsnnu chowhan ২৮ আগস্ট, ২০১৯, ৯:৩৯ এএম says : 0
    Je deshe shikkha kendro shadharon manusher chkitsha bebosta ghotonmoluk protibad koribAr odhikar thakena shkhane jodi shokarer lokjon bolia berai desh onnoyoner shikhore arohon korse,eaita oboshshoi obishashjoggo o hashshokor sara ar kisui noi...
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ