পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোমলমতি শিক্ষর্থীরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে দেশের সার্বিক অবস্থা কতটা ভয়াবহ। দেশের এই ভয়াবহ পরিনতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামজুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনার উচিত হবে এই ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত শিশু-কিশোরদের কাছে ক্ষমা চাওয়া। আপনার শাসনকালে আপনি যে অন্যায়, অত্যাচার করেছেন মানুষের উপরে তার জন্য রাস্তায় নেমে শিশু কিশোরদের কাছে ক্ষমা চান। আপনার (প্রধানমন্ত্রীর) শাসন যে কতটা হাস্যকর কতটা নির্মম নিষ্ঠুর আপনি নিজেও জানেন না।
মাহমুদুর রহমানের উপর হামলা এবং দেশের চলমান ছাত্রছাত্রীদের ন্যায়সংগত আন্দোলনে অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আদর্শ নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমরা গত ৭ দিন ধরে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের আন্দোলন করতে দেখছি, তারা রাস্তায় গাড়ি ধরে ধরে লাইসেন্স দেখছে। গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি নির্বাচনে পুলিশ না থেকে যদি এই শিশু-কিশোরা সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাতো তা হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, আজকেও সারা দেশে ৫ জন মারা গেছে, এর জন্য দায়ি আপনার মন্ত্রী শাজাহান খান, আপনি তাকে পদত্যাগ করাতে পারছেনা। আজকে এই লাইসেন্সবিহীন চালকগুলোই মানুষ হত্যা করছে, এরা চাঁদাবাজী করছে এরা মানুষ খুন করছে। আর এর প্রত্যেকটি মানুষ শাহজাহান খানের লোক।
তিনি বলেন, এখন মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। এই শাজাহান খানের লোকেরা রাস্তায় মানুষের উপর গাড়ি উঠিয়ে দিবে, সরকার উল্লাস করবেন, হাসবেন, এই হাসির পিছনে একটা ছায়া রয়েছে, সেই ছায়ার মানুষটিকে আমরা দেখতে পাই, তিনি হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি যদি সত্যিকার অর্থে বিচার চাইতেন সে দিনেই শাহজাহান খানের পদত্যাগ করতে বাধ্য করতেন। সেটা না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী হুমকী দিচ্ছে।
এসময় দুদু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারদের (সরকার) সময় কমে আসছে। কোথায় পালবেন? জায়গা খুঁজে পাবেন না, শিশু-কিশোরদের আন্দোলনে আজকে মাথা খারাপ হয়ে গেছে, ছাত্ররা নামে নাই, শ্রমিকরা নামে নাই তারা নামলে তখন কই যাবেন। তাই আপনাদের বলছি সময় থাকতে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন, অন্যথায় কিছুদিন পর নতুন সরকার আসবে তখন আপনাদের সকল কিছুর হিসেব দিতে হবে।
মাহমুদুর রহমানের উপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মাহমুদুর রহমান কিছুদিন আগে কুষ্টিয়া গিয়েছিলেন মামলার হাজিরা দিতে, কিন্তু আমরা সেখানে দেখলাম তাকে পুলিশী সহায়তা না করে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। আজকে বেশকিছুদিন হয়ে গেলেও হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি, আমরা যখন ক্ষমতায় আসবো তাদের বিচারের আওতায় কাটগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লিঙ্কন, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।