বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোরবানি সামনে রেখে বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে গরু আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। গরু আনতে বিজিবি এখন আর কাউকে সীমান্ত টপকে ভারতে যেতে দিচ্ছে না। যা কিছু গরু আসছে তা ভারতীয়রাই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এসে দিয়ে যাচ্ছে। যে পথে কাঁটাতারের বেড়া সেখানে নেয়া হয় ভিন্ন কৌশল। গরু-ছাগল মাঠে চরানোর নাম করে গেট দিয়েই পার করে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে অবৈধ পথে গরু আনার জন্য বেনাপোলের পুটখালী, অগ্রভুলট, দৌলতপুর ও গোগা এই চারটি গরু খাটালে বর্তমানে কিছু গরু আসছে।
কোরবানি সামনে রেখে দেশী জাতের গরু পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোরের খামারিরা। ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের অধিকাংশ খামারে দেশী ও সম্পূর্ণ নিরাপদ পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারতীয় গরু আমদানি করা না হলেও কোরবানির হাটে এর কোন প্রভাব পড়বে না। স্থানীয়রা জানান, গত চার বছর কোরবানি উপলক্ষে সীমাšত এলাকা বেনাপোল দিয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভারতীয় গরু না আসার সুযোগে যশোরের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠে বেশকিছু গরুর খামার। এসব খামারে পালন করা হচ্ছে নানা জাতের দেশী গরু। এসব গরু বিগত কয়েক বছর এ অঞ্চলের কোরবানির গরুর চাহিদাপূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও খামারিরা কোরবানির গরু পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা দেশী জাতের গরু মোটাতাজাকরণ কাজে তৎপর হয়ে উঠেছেন।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, যশোরে কোরবানি উপলক্ষে ৩০ হাজার ৫ শত গরু ও ২৭ হাজার ছাগলের চাহিদা রয়েছে। এর বিপরিতে খামারগুলো থেকে প্রায় ৪০ হাজার গরু ও ৩০ হাজার ছাগল সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যে কারণে এবছরও কোরবানিতে পশুর কোনো সঙ্কট হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। নাভারন কাস্টমস করিডোরের ইনচার্জ আনজুমানআরা বেগম জানান, গত ৪/৫ বছর আগে পুটখালীসহ এসব খাটাল হয়ে প্রতিদিন ৫/৭ হাজার গরু আসতো। বর্তমানে তা কমে এসে দাড়িয়েছে ২০/২৫ টিতে। ভারত থেকে আসা গরুর মধ্যে রয়েছে সিন্ধি, ফ্রিজিয়ান, জার্সি, হরিয়ানা, নেপালি, সম্বলপুরিসহ বিভিন্ন জাতের গরু। অবৈধভাবে আসা এসব গরু বিজিবির খাটালে রেখে শুল্ক করিডোরের মাধ্যমে গরু প্রতি ৫০০ টাকা করে রাজস্ব নিয়ে বৈধতা দেয়া হয়। কাস্টমস করিডোর সুত্র জানায়, গত ২০১৭ সালে এসব সীমান্ত দিয়ে গত ৭ মাসে ভারত থেকে ৩৫ হাজার ৬৭৮ টি গরু আসে বাংলাদেশে। সরকার এ সময় ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ৩৯ হাজার টাকার রাজস্ব আয় করে। একই সময়ে চলতি ২০১৮ সালে জুলাই মাস পর্যন্ত ৭ হাজার ৫২৬ টি গরু পাচার হয়ে আসে বাংলাদেশে। এ থেকে সরকার ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা রাজস্ব আয় করেছে। ২১ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমান্ডিং অফিসার মেজর সৈয়দ সোহেল আহমেদ জানান, ভারত থেকে গরু আসা কমে গেছে। ভারত থেকে গরু আনতে কোন বাংলাদেশী রাখালকে ভারতে যেতে দেয়া হচ্ছে না। ভারতীয়রাই শুণ্য লাইনে এসে গরু দিয়ে যাচেছ। ফলে গত এক মাসে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা এখন শুণ্যের কোঠায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।