পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720168232](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনে দিনে সবকিছুরই মূল্য বাড়লেও কমছে জীবনের মূল্য। সমাজের চারিদিকে সমানতালে অসহিঞ্চুতার মাত্রা বাড়ছে। পদে পদে লংঙ্ঘিত হচ্ছে আইন। তুচ্ছাতিতুচ্ছ ঘটনা ও সামান্য স্বার্থে একের পর এক মানুষ খুন হচ্ছে। হিংস্রতা ও নিষ্ঠুরতা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সড়ক মহাসড়কে নিহতের ঘটনা উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে। নেই কোন প্রতিকার। এক এলাকার ব্যক্তি আরেক এলাকায় মধ্যরাতের গোলাগুলিতে নিহত হচ্ছে। মাঠে ঘাটে রাস্তার ধারে বাগানে ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। রাজনৈতিক কারণে সংঘাত, সংঘর্ষ, প্রতিপক্ষকে পথের কাঁটা মনে করে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী লেলানোর ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
কোন এক ব্যক্তি হত্যা বা নিহতের ঘটনা শুধু ব্যক্তির নয় ওই পরিবারকে কার্যত হত্যা করা হচ্ছে। কতটা বেদনার, কষ্টের, বিপদের ও শূন্যতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে হত্যাকান্ডের শিকার পরিবারকে তা ‘ব্যথিত বেদন বুঝিবে সে কিসে কভু আসে বিষে দংশেনি যারে’। যারা লোমহর্ষক হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে, বাস-ট্রাক চাপা দিয়ে তরতাজা মানুষ মারছে তারা বেশীরভাগই বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ তদন্তের নামে অনেক ক্ষেত্রে মস্তিস্ক প্রসূত তথ্যের সমাহার ঘটিয়ে চার্জশিট দিয়ে নিরীহ নিরপরাধ ব্যক্তিকে ফাসিয়ে দেয়া হচ্ছে। এমন নজির অসংখ্য। সমাজদেহকে ক্ষতবিক্ষত করার সন্ত্রাস ব্যবসা যারা পরিচালনাকারী গডফাদাররা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকার সুযোগে বরাবরই পার পেয়ে যাচ্ছে। চলমান এই চিত্র দেশের প্রায় সবখানেই কমবেশী ঘটছে। প্রতিকার না হওয়ায় ঘটছে ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
রাজনীতিবিদ, সমাজ সচেতন ব্যক্তি, অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধি এ ব্যাপারে চরম উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, সমাজে সত্যিকারর্থে জীবনের মূল্য সম্মান ও শ্রদ্ধা দেওয়ার মানসিকতা সহিঞ্চুতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। জাগ্রত করতে হবে নৈতিক মূল্যবোধ। সূত্রমতে, যেখানে সেখানে লাশ পড়ে থাকার ঘটনায় যেন গা সওয়া ভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের বিভিন্নস্থানে সড়ক মহাসড়কে নিহত এবং মধ্যরাতের গোলাগুলির ঘটনাসহ সা¤প্রতিক উদ্বেগজনক বিষয়ে সাধারণ মানুষ যে ভাবছেন তার প্রমান মেলে খুলনার ময়লাপোতা মোড়ের রিকসাচালক কফিল উদ্দীনের মন্তব্যে। তিনি বললেন, ‘ভাই যত দিন যাচ্ছে ততই জীবনের মূল্য কমে যাচ্ছে। এটি মেনে নেওয়া যায় না। জমিজমা নিয়ে গোলযোগে, সামান্য কথাকাটাকাটিতে, রাজনৈতিক কারণে, আইন না মেনে চলায় শুধু ফিটনেসবিহীন যানবাহন নয় নানা কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে, মানুষ নিহত হচ্ছেন। নানা কারণে ঘটছে হত্যাকান্ড।
একটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা বললেন, ‘মানুষের অনুভুতিতে চরম ভাটা পড়েছে। ন্যায়বাদিতা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত, হত্যাকান্ডসহ সমাজের বিশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সবকিছুই দুবৃত্তায়নের রাজনীতি অর্থনীতি দায়ী। সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক মূল্যবোধের অভাবে স্বার্থান্ধ হচ্ছে মানুষ। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় গ্রামে শহরের মোড়ে মোড়ে মুরব্বীরা ন্যায়নীতির শিক্ষা দিতেন। এটি কমে আসছে। একজন সমাজবিজ্ঞানীর মতে, দিন দিন অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে সমাজ কাঠামো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। কারণ সমাজের খুঁটি হয়ে পড়েছে নড়বড়ে। এজন্য সমাজে বেশী দরকার আদর্শবান সাহসী, নীতিবান, নিরপেক্ষ ব্যক্তি এবং বিবেকবান সমাজ সংস্কারক। অপরাধ বিশেষজ্ঞ, সমাজ বিজ্ঞানী ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, মূল্যবান জীবনহানির ঘটনার বিচারহীনতায় জীবনহানির মাত্রা বাড়ছে। প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও বিচার এটিকে অনেকাংশেই রোধ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।