পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীসহ সারা দেশ যখন নিরাপদ সড়কের দাবিতে উত্তাল ঠিক সেই সময়ে বাসের ধাক্কায় সাইফুল ইসলাম রানা (২৭) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের ওয়ারলেস গেটে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা ঘাতক বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং চালককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
নিহত সাইফুল বরিশালের বানারিপাড়া উপজেলার তেঁতলা গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। তিনি মগবাজারের কমিউনিটি বেইজড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাকরি করতেন এবং ঢাকার উত্তর গোড়ানের হাড়ভাঙা মোড় এলাকায় থাকতেন। স্বজনরা জানান, সাইফুলের জন্য পাত্রী দেখা হচ্ছিল। কয়েক মাসের মধ্যে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, এসপি গোল্ডেন লাইন নামে একটি বাস মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার দিয়ে নেমে মালিবাগের দিকে যাওয়ার পথে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ঘটনার পর আশপাশের জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে চালককে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর এবং বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটিতে (ঢাকা মেট্রো ঝ-১৪-০২১৪) খুব কম যাত্রী ছিল। তার কল্যাণপুর থেকে আরামবাগ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্লাইওভার দিয়ে নেমে যাওয়অর সময় প্রথমে একটি রিকশাকে ধাক্কা দিলে এক নারী যাত্রী ছিটকে পড়ে আহত হন। এরপর বাসটি ওই মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। মুহুর্তেই মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তায় পড়ে যান। তখন বাসের চালক বাস না থামিয়ে উল্টো মোটর আরোহীর উপর দিয়ে নির্মমভাবে উঠিয়ে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পালাতে গিয়ে আরেকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। তখন উত্তেজিত জনতা বাসটি থামিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাসের চালককে গণপিটুনি দেয়।
নিহত সাইফুলের খালা রোখসানা বেগম জানান, সাইফুল মগবাজারের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্রাদার (নার্স) ছিলেন। সেখানে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
নিহত সাইফুলের দুই বোন সাথী ও যুথি জানান, সাইফুল মোটরসাইকেল নিয়ে মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। সাইফুল আমাদের বড় ছিল। তারা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, সাইফুল অবিবাহিত ছিলেন। তার জন্য পাত্রী দেখা হচ্ছিল। অথচ ঘাতক বাস তার ভাইকে হত্যা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।