Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) থেকে তাজ উদ্দীন | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

অসংখ্য ছোট-বড় খানাখন্দে ভরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার একাধিক স্থান। চট্টগ্রাম শহর থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব দেড় শ’ কিলোমিটার। এ মহাসড়কের লোহাগাড়ার ২৫ কিলোমিটার জুড়েই অসংখ্য ছোট-বড় খানাখন্দে ভরা। ভারি বর্ষণ হলেই সড়কে জমে যায় পানি। পানি জমার ফলে একাধিক স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে সড়কের পাশে চলাচল করতে গিয়ে যানবাহনের চাকা থেকে ছিটকে কাঁদাযুক্ত পানিতে নাস্তানাবুদ হন পথচারীরা। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটকের আগমন হওয়ায় এ মহাসড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও বছরের বেশি ভাগই দেখা যায় সড়কের বেহাল দশা।
বছরে একাধিক স্থানে একবার করে নামমাত্র সংস্কার হলেও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় বেশি দিন টেকে না সড়কটি। বর্তমানে সড়কটির লোহাগাড়ার ঠাকুরদীঘি, পদুয়া, পুরান বিওসি, বটতলী মোটর স্টেশন, আধুনগর খান হাট, চুনতি ডেপুটি বাজার, চুনতি ফরেস্ট অফিসসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রী, পথচারী, যানবাহনের চালকরা গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটিতে চরম হতাশা ও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে চলাচল করছেন। সড়কে খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে যানবাহনগুলো। এতে অকালে ঝরে যাচ্ছে অনেক তাজা প্রাণ। পঙ্গুত্ব বরণ করছে অনেকেই। লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদের মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, মহাসড়কে এতগুলো গর্ত, দেখেই মনে হয় এসবের কোনো কর্তৃপ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ধূলাবালি আর কাঁদাপানিতে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায় ও গর্তে পড়ে গাড়িও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পদুয়া এলাকার নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রতিবছর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের একাধিক স্থান সংস্কারের নামে সরকারের যে বিপুল পরিমাণ টাকার ব্যয় হচ্ছে তার সুফল জনগণ ভোগ করছে কি না কর্তৃপক্ষের জানা দরকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ