রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রথমবারের মতো উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের ব্রি-৪৮ (আউশ) ধান চাষ করে দ্বিগুণ ফলন পেয়েছেন কৃষকেরা। পূর্বে প্রতি বছর স্থানীয় জাতের ধান চাষ করে যে ফলন পেতেন, নতুন জাতের ব্রি-৪৮ ধান চাষ করে এ বছর তার চেয়ে দ্বিগুণ ফলন পেয়েছেন তারা। আর প্রথমবার চাষেই দ্বিগুণ ফলন হওয়ায় নতুন এ জাতের ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে এলাকার কৃষকদের। সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলার কৃষকরা আউশ মৌসুমে স্থানীয় বিভিন্ন প্রজাতির ধান আবাদ করে থাকে। এ বছর আউশ মৌসুমে সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রদর্শনী হিসেবে স্থানীয় ৩২ জন কৃষকে এবং প্রণোদনা হিসেবে ২০০ জন কৃষকে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-৪৮ ধানের (আউশ ধান) বীজ ও সার দেয়া হয়। সাটুরিয়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদেরকে প্রদর্শনীর জন্য বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে প্রদর্শনী স্পটগুলোতে ধান কাটা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ও এ জাতের ধানের জীবনকাল কম হওয়ায় এবং পোকামাকড় দমনে কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রতি শতক জমিতে ২০ থেকে ২৫ কেজি পর্যন্ত ফলন হয়েছে যা অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।
সাটুরিয়ার বরাঈদের কৃষাণী ঝিলিমন বেগম জানান, স্থানীয় জাতের ধান আবাদ করে প্রতি শতক জমিতে ১০ থেকে ১৫ কেজির বেশি ফলন হয় না। এ বছর নতুন জাতের ব্রি-৪৮ ধান চাষ করে আমরা প্রতি শতাংশ জমিতে ২০ থেকে ২৫ কেজি ফলন পেয়েছি। সাটুরিয়ার পাড়াগ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, প্রথম বারের মতো ব্রি-৪৮ ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। অন্য ধানের তুলনায় এ ধানটি মোটা ও কিছুটা লম্বা। সাটুরিয়ায় কৃষক সেলিম হোসেন ও সবদুল মিয়া জানান, ব্রি-৪৮ ধানের চাষে এবার আমরা বেশি ফলন পেয়েছি। সামনের বছর এ জাতের আউশ ধান আরো বেশি আবাদ করব। সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, সাটুরিয়া এলাকায় কৃষকরা স্থানীয় আউশ ধানের আবাদ করত। এ বছর আমরা কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা করে উচ্চ ফলনশীল নতুন ব্রি-৪৮ ধান আবাদ করার পরামর্শ দেই এবং প্রদর্শনী হিসেবে ৩২ জন কৃষককে বীজ সরবরাহ করি। এ ছাড়া ২০০ কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার দেয়া হয়। কৃষকরা এ ধান চাষ করে প্রচুর ফলন পেয়েছে। তুলনামূলক খরচ কম হওয়া এবং ফলন বেশি পাওয়ায় এলাকার কৃষকদের মাঝে এ প্রজাতির ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে। তাদের ফলন দেখে এলাকার অন্যান্য কৃষক বীজ পাওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আগামী মৌসুমে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে এ ধানের আবাদ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।