Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধান চাষ থেকে বেরিয়ে বৈচিত্র্য আনার আহ্বান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

কৃষিপণ্যের বাজারে কোনো ধরনের কারসাজি বা মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য মেনে নেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময় বাজারের প্রতিটি পর্যায়ে সুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে। কেননা অবৈধ মজুত কিংবা মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে বাজারে মুক্ত প্রতিযোগিতা ব্যাহত হয়। যখনই বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা কিংবা মজুতদারির মতো তৎপরতা সম্পর্কে সরকার জানতে পারে তখনই তা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। গতকাল ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশন আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় কৃষির বৈচিত্র্যকরণের গুরুত্বারোপ করে ড. শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে দেশের ৭৫ ভাগ জমিতে শুধু ধান চাষ হচ্ছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু তাই নয়, ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিয়েতনামে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫ দশমিক ৯ টন ধান উৎপাদন হয়। যেখানে বাংলাদেশে এই হার মাত্র ২ দশমিক ৪৪ টন। আমাদের দেখতে হবে কীভাবে ভিয়েতনামের একই পরিমাণ জমিতে আমাদের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি উৎপাদন করছে। উৎপাদন বাড়াতে আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত জাতের চাষাবাদ বাড়াতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনে আরও গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করেন ড. শামসুল আলম। বর্তমানে জিডিপির মাত্র ০ দশমিক ৬ শতাংশ গবেষণায় ব্যয় করে বাংলাদেশ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গবেষণায় জিডিপির এক শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বক্তারা কন্ট্রাক ফার্মিংসহ কৃষি উৎপাদনে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার সীমার মধ্যে আনতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধান চাষ

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ