Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চকরিয়ার গ্রামীণ সড়কের করুণ হাল

কক্সবাজার থেকে জাকের উল্লাহ চকোরী | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ গ্রামীণ সড়কগুলো বর্ষার পানিতে ভেঙে খান খান হয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদের সাথে একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম খোদারকুম থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত সড়কটিতে কয়েক হাজার ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। চকরিয়া পৌরসভার সাথে সহজ যোগাযোগ মাধ্যম বালিকা বিদ্যালয় সড়ক থেকে ফুলতলা পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা। মাত্র আট মাস আগে সড়ক দু’টি সংস্কার ও মেরামত করা হলেও নিম্নমানের কাজ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
অপর দিকে, বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে খুটাখালী জলদাশপাড়া এলজিইডির প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ পাকা সড়কটিও। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি এমন অবস্থায় থাকলেও সংস্কার কিংবা মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারীদের। দিনদিন আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সড়কটি হয়ে পড়ছে চলাচলের অনুপযোগী। ঘটছে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা। চকরিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খুটাখালী-জলদাশপাড়া এলজিইডির ৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ভাল সড়কের দৈর্ঘ রয়েছে প্রায় তিন কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়ক মেরামত না করায় প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কই এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত অভ্যন্তরীণ সড়কের মধ্যে জলদাশপাড়া হয়ে লালগোলা পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে সড়কের দু’পাশ ভেঙে সিলকোট ও দুই পাশের সেøাপের মাটি পড়ে গেছে। যার কারণে সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও ওই সড়কে ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে।
সড়কের গাড়ি চালকরা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। টকটকি ঘোনা, বহলতলী মৎস্য ঘেরের প্রতিদিন কয়েক শত শ্রমিক চলাচল করে। বিভিন্ন স্থানে ইটের খোয়া উঠে খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় মাছ পরিবহনে সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান জানান, সড়কের উত্তর ফুলছড়ি হতে লালগোলা পর্যন্ত ইতোমধ্যে সংস্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া খুটাখালী বাজার থেকে জলদাশপাড়া যাওয়ার সড়ক জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন। চকরিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী জানান, ইউনিয়নে বর্তমানে যে সড়ক খুবই খারাপ অবস্থায় আছে সে সড়ক মেরামতের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সড়কের কাজ শুরু করা হবে।



 

Show all comments
  • Abu Siddik ৩১ জুলাই, ২০১৮, ১০:৩৫ এএম says : 0
    ভাল নিউজ, তবে বানিয়ার ছড়া মগনাম সড়কটির অবস্তা আরো করুন। ফরচাদা মাদ্রাসা থেকে বানিয়ার ছড়া পযড়ন্ত সড়কটির কোন উন্ন্যন নেই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ