বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রংপুরের গংগাচড়ার দুর্গম চর এলাকায় পুলিশ হেড কোয়াটার্সের ইনটেলিজেন্স শাখা ও বগুড়া পুলিশের যৌথ হানায় গ্রেফতার হয়েছে পুরাতন জেএমবির ৪ শীর্ষ সংগঠক , তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি একে ২২ রাইফেল , রাইফেলের ১টি ম্যাগজিন, ১৫ রাউন্ড গুলি ও ৩টি ম্যাগজিন সহ ২টি ৭.৬৫ বোরের বিদেশী পিস্তল, ২টি ছোরা ও নগদ অর্থ। এই ঘটনার পর জানা গেল নব্য জেএমবির পাশাপাশি পুরাতন জেএমবির তৎপরতা কমেনি বরং নিরবে তাদের তৎপরতা আগের মতই অব্যাহত রয়েছে । দেশ জুড়েই সক্রিয় রয়েছে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা ।
রোববার মধ্যরাতে সফল অভিযানের পরে সোমবার দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে এক লিখিত বিবরণে এসপি আলী আশরাফ ভুঞা জানান, গোপন সুত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত সাড়ে ১২টায় পুলিশ হেড কোয়াটর্সের ইন্টেলিজেন্সের একটি টিম ও বগুড়া পুলিশের একটি দল লালমনিরহাট পুলিশের সহায়তায় রংপুরের গংগাচরের দূর্গম চরে উপস্থিত হয় । গোয়েন্দা তথ্য ও নিখুঁতভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযানিক দলটি মোঃ ফারুক ওরফে সাজুর বাড়ি ঘেরাও করে । পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন পালাতে পারলেও ধরা পড়ে ৪ জন ।
তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় সাংগঠনিক কাজের জন্য রাখা নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১টি ম্যাগজিন, ১৫ রাউন্ড গুলি সহ ১টি একে ২২ রাইফল, ৩টি ম্যাগজিন সহ ২টি ৭ .৬৫ বোরের বিদেশী পিস্তল ও ২টি ছোরা। গ্রেফতারকৃতরা হল গংগাচড়ার কুড়ি বিশ্বাদোলা পাড়ার মোঃ সিরাজুল ইসলামের পুত্র রংপুর বিভাগের দাওয়াহ সদস্য আজহারুল ইসলাম ওরফে ওয়ানুর (৩২), গংগাচড়ার চর বাগডহড়া গ্রামের নৈয়ব আলীর পুত্র আকরামুজ্জামান ওরফে মুকুল ( ২৬), একই গ্রামের মমিন আলীর ছেলে ও বাড়িতে আশ্রয়দাতা মোঃ ফারুক ( ২২), জেএমবির সামরিক শাখা ইছাবা এর সদস্য আব্দুস সামাদের পুত্র আব্দুল হাকিম ওরফে মিলন।
গ্রেফতারকৃতরা জেএমবির সংগঠকদের পরিচয় উল্লেখ করে জানায় , পুলিশী অভিযানকালে পালিয়ে যাওয়া পুরাতন জেএমবির বাংলাদেশ এর প্রধান সমন্বয়ক খোরশেদ আলম ওরফে মাষ্টার ওরফে জিয়া ওরফে মমিন ওরফে উদয় ( ৩৮) সহ তার সহযোগি শহিদুল্লাহ ওরফে ইয়মিন ওরফে গোপাল ওরফে নাদিম ( ৪৫) , মোঃ নুর হক ওরফে ওমর ওরফে ওসমান (৩০), ফুয়াদ ( ৩৮) ও হাদী ( ৩৮) ব্যাপকভাবে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছে । উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও টাকা ও তারাই তাদেরকে দিয়েছিল ।
পুলিশের একটি সুত্র জানায় , পলাতকদের ধরতে সর্বাধিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েšদা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে, ভেঙ্গে দেওয়া হবে তাদের সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।