বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অস্তিত্বের প্রতি হুমকি জানিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা প্রবিণ তেগারিয়া বলেছিলো বাংলাদেশের একাংশ দখল করে আসাম থেকে বিতাড়িত মুসলমানদের থাকার ব্যবস্থা করা। এই ঘোষণার কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে ভারতের যতটুকু অবদান ছিল সেই পুরো অবদান টুকুই ¤øান হয়ে গেছে। ইসলাম এবং দেশ রক্ষা পরিষদের আহবায়ক নাসিমুর রহমান রেজভী এবং সদস্য সচিব মাওলানা আমিরুল ইসলাম কাসেমী গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন। তেঘারিয়া বাংলাদেশ দখলের ঘোষণা দিয়ে এটাই প্রমাণ করেছে সে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক শিষ্টাচার, আন্তরাষ্ট্রীয় সৌজন্য, সৌহার্দ্য, শ্রদ্ধাবোধ লংঘন করে হিটলারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের উন্মোচন ঘটিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপরে আঘাত হানতে চায়। কাজেই তেগারিয়ার উগ্র হিন্দুত্ববাদী বক্তব্যের বিরুদ্ধে যদি ভারত সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে বুঝতে হবে মোদি সরকার মূলত তেগারিয়ার মতবাদের ধারক। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের ৫৭ টি মুসলিম দেশের জন্য অপরিহার্য দ্বায়িত্ব হচ্ছে ভারতের সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা। কারণ কোন শত্রুর সাথে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক রাখা এবং নিজের মায়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার মত। নেতৃদ্বয় আরো বলেন বাংলাদেশের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কোটি কোটি টাকার কয়লা গায়েবের উন্মোচন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণ লুটপাট হওয়ার অভিযোগ পাল্টাপাল্টি উত্থাপনের প্রেক্ষাপটে তেগারিয়ার বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্য খুবই সন্দেহজনক। তেগারিয়ার এই বক্তব্য আমাদেরকে প্রাচীন পন্ডিত চাণক্যের সেই কূটনীতির কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে মধরহ ধহফ ফবংঃৎড়ু অর্থাৎ লুটপাট করে ধ্বংস করে দাও। বাংলাদেশের সচেতন বোদ্ধামহল এটাই মনে করেন, তাহলে কি বাংলাদেশকে লুটেপুটে শেষ করে দেয়ার পর প্রতিবেশী বন্ধু দাবীদার ভারতের উগ্র ধর্মান্ধদের পরিকল্পনা হচ্ছে বাংলাদেশকে এবার ধ্বংস করে দিতে হবে। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ইসলামপ্রিয় দলগুলোকে দেশ ও ইসলামের স্বার্থেই সোচ্চার হতে রাজপথে নামতে হবে। নেতৃবৃন্দ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ওয়েবসাইট হ্যাক করায় সাইবার ৭১ কে অভিনন্দন জানান।