রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সংস্কারের অভাবে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল-ডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চার শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে সড়কটিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে পানিবদ্ধতা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এ সড়ক। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ি, জরুরি রোগীসহ হাজারো মানুষের। অথচ এ সড়কের দু’পাশেই বাংলাদেশ জুট মিল, পূবালী জুট মিল, ক্যাপিটাল পেপার মিল, প্রাণ ফুড ফ্যাক্টরি, সিমেন্ট ফ্যাক্টরিসহ আরো ছোট-বড় অসংখ্য কলকারখানা অবস্থিত।
তা ছাড়া উপজেলার বৃহৎ ঘোড়াশাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, পূবালী জুট মিল উচ্চ বিদ্যালয়, ভিরিন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থীরা নানা দুর্ভোগ নিয়ে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘোড়াশাল-ডাঙ্গা-কালীগঞ্জ গুদারাঘাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে আধা কিলোমিটার সড়কেও কোনো কার্পেটিং নেই। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বিটুমিনের কার্পেটিং ওঠে গিয়ে ছোট-বড় প্রায় ৪ শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সড়কে চলাচলরত জনসাধারণদের।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নরসিংদী জেলা শাখার দুর্ঘটনা অনুসন্ধান ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শান্ত বণিক বলেন, এই পাকা সড়কই এখন মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় সড়কে প্রতিদিন প্রায় শত-শত মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত সড়কগুলো মেরামত না করায় গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ১০ কিলোমিটার সড়কই এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও নরসিংদীর শিবপুর-মনোহরদী সড়কসহ আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের অবস্থা বেহাল। ভারী যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়িসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঘোড়াশাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও পূবালী জুট মিল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় অনেকটা ভোগান্তি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের। অনেক সময় সড়কের গর্তে পড়ে জামাকাপড়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে বইপুস্তক। সড়কটিতে নিয়মিত চলাচলরত অটোচালক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রায়ই গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে। সারা দিনে যে টাকা আয় করি তার অর্ধেক টাকাই গাড়ির পিছনে খরচ হয়ে যাচ্ছে। শুনেছি সড়কটি চার লেন হবে, কিন্তু কবে হবে তা আমরা কেউ জানি না। আমরা চাই সড়কটি যেন দ্রæত সংস্কার করা হয়। জলিল আহমেদ নামে এক যাত্রী জানান, ২০ মিনিটের রাস্তা অথচ সড়কের এ অবস্থার কারণে ১ ঘন্টারও বেশি সময় লাগে ডাঙ্গা পৌঁছাতে। তাছাড়া ভাড়াও নেয় দ্বিগুণ, আর দিন যত যাচ্ছে দুর্ভোগ তত বাড়ছে। সন্ধ্যার পর ডাঙ্গা যাওয়ার কোনো যানবাহন পাওয়া যায় না, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে। এ ব্যাপারে ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের উল হাই বলেন, গত বছর পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল চার লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৮৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা একনেকে পাশ হয়। চার লেন রাস্তার দুই পাশে জমি অধিগ্রহণ করা হবে ১৫০ ফুট, যা বর্তমানে রয়েছে ২৫ ফুট। শুনেছি জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হলেই সড়ক তৈরির কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।