পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভ্যাপসা গরম কেটে গিয়ে হচ্ছে বৃষ্টিপাত। তবে মধ্য-শাওনে ভর বর্ষায় এসেও কোথায় সেই চিরাচরিত মুষলধারে ‘স্বাভাবিক’ বর্ষণ! গত বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশের অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে হালকা, ঝিরিঝিরি, গুঁড়ি গুঁড়ি। অথচ গতকাল (শনিবার)সহ বাংলাদেশের ওপর বর্ষার মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে প্রায় দু’সপ্তাহ। অঝোর ধারায় বর্ষণ হয়েছে শ্রাবণের গেল প্রায় দ্’ুসপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম, সীতাকুন্ড, কক্সবাজার, স›দ্বীপ, খেপুপাড়াসহ গুটিকয়েক জায়গায়। অধিকাংশ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের দেখা মিলেনি। বর্ষা ঋতুর স্বাভাবিক ভারী বর্ষণ না হওয়ায় মাটির নিচে তথা ভূ-গর্ভস্থ পানির পুনর্ভরণ (রিচার্জ) বলতে গেলে হয়নি।
রাজধানীসহ বৃহত্তর ঢাকায় গত চার দিনে বৃষ্টি হয়েছে হালকা ঝিরিঝিরি। পূর্বাভাসে বলা হলেও ‘ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ’ ঢাকায় এখন পর্যন্ত এই শ্রাবণে ঝরেনি। একইভাবে বৃষ্টিবহুল এলাকা হিসেবে পরিচিত সিলেট, খুলনায় বৃষ্টি ঝরেছে কম। রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল, ময়মনসিংহেও এখনো বৃষ্টিপাত অপ্রতুল।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞগণ এরজন্য জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, সীমিত এলাকা বা স্থানে হঠাৎ বৃষ্টিপাতের আধিক্য এবং অস্থায়ী বা স্বল্পক্ষণ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুষম বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যেতে বসেছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ৯ মিলিমিটার। এছাড়া চট্টগ্রামে ২৭, ময়মনসিংহে ৪৫, সিলেটে ৫, রাজশাহীতে ১৬, রংপুরে ২, খুলনায় ৫০, বরিশালে ২৭ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে খেপুপাড়ায় ১৭৮ মিমি।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে আরও তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত।
আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ জানান, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিরিমিটার বর্ষণ) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিরিমিটারের ঊর্ধ্বে) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভ‚মিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা নদীসমূহের পানির সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আগামী ৭২ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আপার মেঘনা অববাহিকায় প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের ৯৪টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল পানি বৃদ্ধি পায় ৬৪ টিতে, হ্রাস পায় ২৪ টিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।