চট্টগ্রাম ব্যুরো : লঘুচাপ আকারে দুর্বল হয়ে কেটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্টে’র পারবর্তী বর্ধিত প্রভাবে গতকালও (শুক্রবার) ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ও নি¤œচাপটি কেটে যাওয়ার ফলে দেশের সমুদ্র বন্দরসমূহকে দেয়া সতর্ক সঙ্কেত তুলে নেয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে সাতক্ষীরায় ১৩৫ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৬ মি.মি., ময়মনসিংহে ৩, চট্টগ্রামে ১১, সিলেটে ১ মি.মি.।  
আজ (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে,  ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।  
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।  
আবহাওয়ার সবশেষ বিশেষ বুলেটিনে গতকাল জানানো হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নি¤œচাপটি আরও পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল ভারতের অন্ধ্র উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।