রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পটিয়ায় শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে ছনহরা, ভাটিখাইন ও আশিয়া অংশে ব্যাপকভাবে ভেঙে যাওয়ায় ৩ ইউনিয়নের লোকজনের চলাচল বিচ্ছিন্ন ও ২শ একর জমির আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। বরাদ্ধ না পাওয়ায় বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসী ঢলের তোড়ে আরো বড় ধরনের ভাঙন আতংকে দিনযাপন করছে। এলাকাবাসী ঢলের পানি থেকে রক্ষা কল্পে স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
উত্তর ছনহরা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ সিএনজি চালক জসিম উদ্দিন বলেন, প্রবল বৃষ্টিতে তার বসত ঘরসহ ৯ শতক জায়গা সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
সরকারিভাবে ঢেউ টিন বরাদ্দ পাওয়ার জন্য জসিম উদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তার ৪ মেয়ে ও ১ পুত্র সন্তান লেখাপড়া করলেও বর্তমানে তাদের লেখা পড়া বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় মো: সেলিম জানিয়েছেন, তাদের এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে প্রতি বর্ষা মওসুমে ক্ষতিগ্রস্থের সম্মুখীন হয়। ভাটিখাইন সড়ক দিয়ে ছনহরা ও আশিয়াসহ এলাকার হাজার হাজার লোক চলাচল করে থাকে। প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে বেড়ি বাঁধ যাওয়ার ফলে ৩ ইউনিয়নের জনগনের চলাচলের দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
জানা যায়, স¤প্রতি শ্রীমতি খালের বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অসময়ে বরাদ্দ পাওয়া ও বর্ষার কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহেলায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। ফলে ১টি স্পটে সামান্য কাজ করা হলেও বাকি আরও ৫টি অংশে কাজ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত যায়।
স¤প্রতি প্রবল বর্ষণে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে শ্রীমাই খালের ছনহরা ও ভাটিখাইন অংশে ব্যাপক অংশ ভেঙে যায়। এতে ছনহরা, ভাটিখাইন এলাকার প্রায় ২০০ একর জমিতে পলি মাটি জমে ভরাট হয়ে যায়।
এলাকার সিএনজি চালক জসীম উদ্দীন, ওবাইদুল হক, সামশুল আলম, জসিম, রহিম, সুজন, ছেনোয়ারা বেগম সহ বেশ কয়েক জনের ঘরও ভেঙে যায়। এ ছাড়া প্রায় ৫ শতাধিক পুকুরে মাছ ও ছোট বড় পোনার পুকুর ভেসে গিয়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধটি মেরামত না করায় সা¤প্রতিক কালের ২য় বারের বর্ষণেও পুনরায় এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ভাটিখাইন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দীন ও ছনহরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের পর থেকে স্থানীয় এমপি সামশুল হক চৌধুরী ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফর আহমদ চৌধুরী টিপুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং মেরামত করার জন্য আশ্বাস দিলেও সরকারি বরাদ্দের অভাবে তা মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।
এব্যাপারে পটিয়ার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সামশুল হক চৌধুরী থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন ৩ ইউনিয়নের ভেঙে যাওয়া কাপের্টিং রাস্তা মেরামত ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্ধের প্রস্তাব মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে রাস্তা ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।