Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের রাজধানীতে অনাহারে তিন শিশুর মৃত্যু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৮, ১:৩৪ পিএম

ভারতের রাজধানীতে না খেতে পেয়ে মারা গেল তিন শিশু। একনাগাড়ে কয়েক দিন ধরে খাদ্য না পেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে প্রকাশ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে প্রকাশ, সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব দিল্লির মান্ডাওয়ালি এলাকায় তিন শিশু মারা যাওয়ার খবর দেয় পুলিশ। জানা যায়, তাদের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পরে বুধবার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা গেছে, নিদারুণ অবহেলা এবং খাদ্যাভাবেই তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

চিকিত্‍সকরা জানিয়েছেন, তাদের পিত্তথলি পিত্তরসে ভর্তি ছিল, প্লীহা শুকিয়ে গিয়েছিল এবং মূত্রথলি ও বৃহদন্ত্রও শূন্য ছিল। তাদের দাবি, মৃত্যুর অন্তত ১৮ ঘণ্টা পরে তিন হতভাগ্যের দেহ হাসপাতালে আনা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, আদতে পূর্ব মেদিনিপুরের বাসিন্দা মঙ্গল কাজের সন্ধানে কয়েক বছর আগে দিল্লি পাড়ি দেন। পাশের গ্রামের বীণার সঙ্গে ১০ বছর আগে তার বিয়ে হয়। দিল্লিতে এক পরিচিতের রিকশা ধার নিয়ে মধু বিহার অঞ্চলে চালিয়ে দৈনিক ৫০-৬০ রোজগার করতেন মঙ্গল। কিন্তু প্রতিদিন আয়ের বেশির ভাগই খরচ হত তার দেশি মদ কিনতে। অভাবের সংসারে খাবারের কষ্ট লেগেই ছিল।

সমস্যা ভয়ানক রূপ ধারণ করে কয়েক সপ্তাহ আগে মঙ্গলের রিকশাটি চুরি গেলে।

কাজের খোঁজে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন মঙ্গল। এদিকে দারিদ্র্যের সাথে নিত্য পাঞ্জা কষার খেসারত হিসেবে মানসিক ছন্দ হারিয়ে ফেলেন বীণা। তার স্মৃতিশক্তি ক্রমে ক্ষীণ হতে থাকে। এদিকে মোবাইল ফোনের অভাবে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয় মঙ্গলের।

বাবা-মায়ের সাহায্য না পেয়ে প্রথম কয়েক দিন ভিক্ষা করে খাবার জোগাড় করার চেষ্টা করে আট বছরের মানসী, চার বছরের পারো এবং ২ বছরের সুখো। কিন্তু এলাকায় নবাগত বলে তাদের সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। অনাহারের জেরে চরম অপুষ্টিতে ভুগে ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘনায় তিন খুদের।

লালাবাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর অমিতা সাক্সেনা এই সময়-কে জানিয়েছেন, ‘ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ হিসেবে অপুষ্টির স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারকে রিপোর্টটি পাঠানো হয়েছে।’

 



 

Show all comments
  • ২৬ জুলাই, ২০১৮, ৫:৩৯ পিএম says : 0
    Bomar aghatay mara galao atota dukkho hotona.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ