পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক লাখ টনের কয়লা লুটপাটের ঘটনায় সকল মহলে দৌড় ঝাপ শুরু হয়েছে। লুটপাটের ঘটনা ফাঁসের ছয় দিন পর গত মঙ্গলবার রাতে বরখাস্তকৃত এমডিসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। খনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বাদী হয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় লুটপাট হওয়া কয়লার পরিমান বেড়ে এক লাখ ৪৪ হাজার ৫৫৬ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল হক প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এমডি হাবিব উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ৩ কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। এদিকে গতকাল বুধবার সকালে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানসহ পিডিবি এবং জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি তদন্ত দল বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি ও তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, খনি উন্নয়নের সময় (২০০১) থেকে ১৯ জুলাই ২০১৮ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪২ দশমিক ৩৩ মেট্রিক টন কয়লা উৎপাদন করা হয়। উৎপাদিত কয়লা থেকে পার্শ্ববর্তী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৯ দশমিক ২৯ মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ, বেসরকারি ক্রেতাদের কাছে ডিও’র মাধ্যমে ৩৩ লাখ ১৯ হাজার ২৮০ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন বিক্রি এবং খনির বয়লারে ১২ হাজার ৮৮ দশমিক ২৭ মেট্রিক টন ব্যবহার করা হয়। উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার হিসাব করলে ১৯ জুলাই কোল ইয়ার্ডে রেকর্ডভিত্তিক মজুদ দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন। কিন্তু বাস্তবে মজুদ ছিল প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন। অর্থাৎ ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন কয়লা ঘাটতি রয়েছে যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৩০ কোটি টাকা।
মামলায় এজাহারে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাকি ১৫ জন আসামি অনেক আগে থেকেই তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে সংঘটিত কয়লা চুরির ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে অনুমিত হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, সাময়িক বরখাস্তকৃত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুর-উজ-জামান চৌধুরী, উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) একেএম খালেদুল ইসলাম, সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, সদ্য বিদায়ী কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানীয়া, ব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন) মোশাররফ হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিসেস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) জাহিদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হক, উপ-ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মোর্শেদুজ্জামান, উপ-ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক (ভেল্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্রনাথ বর্মন, ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্লানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) জোবায়ের আলী, প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী এবং মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) গোপাল চন্দ্র সাহা। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফখরুল ইসলাম মামলার তদন্ত শুরু করেছেন।
এদিকে ঘটনা তদন্ত ও পরিদর্শন করতে বুধবার সকাল ৯ টায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আসেন পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়জুল্লার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পেট্রোবাংলা পরিচালক (প্লানিং) আইয়ুব আলী খান, বাংলাদেশ ভূ-তথ্য জরিপ এর সাবেক মহা পরিচালক ডঃ নেহাল উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তথ্য ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রফেসর ডঃ মুশফিকুর রহমান, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জহুরুল হক ও অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন) রতন চন্দ্র পন্ডিত। তারা বড়পুকুরিয়া ও তাপ বিদুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। এর পর সকাল সাড়ে ১১ টায় তারা খনি থেকে বিমান যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তবে তারা সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।