পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ালে মানবে না জনগণ বলে মনে করেন কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটি বলছে, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির আগে দাম বাড়াতে তা কানোভাবেই সমর্থনযোগ্য হবে না। এতে দাম না বাড়ানোর আহবান জানিয়েছে ক্যাব। এভাবে গণশুনানির নামে গ্যাসের অযৌক্তিক দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের কোন ভিত্তি নেই। গ্যাসের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি জনগণ মেনে নেবে না।
গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির অযৌক্তিক প্রস্তাব ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান, ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম, ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন ও ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া প্রমুখ।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, জ্বালানি খাতে দুর্নীতি ও অপচয় হচ্ছে। হাজার হাজার মাইল এমনকি মাইলের পর মাইল, অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ দেয়া হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোও সিস্টেম লসের কবলে পড়ছে। কিন্তু সিস্টেম লস সমন্বয় করতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব জনগণ মেনে নেবে না। বরং আপনাদের সকল কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা আনয়ন করুন।
গোলাম রহমান আরও বলেন, এলএনজি এখনো আসেনি, আগামী জানুয়ারির আগে আসবে না বলে শোনা যাচ্ছে। সেই পর্যন্ত যেন গ্যাসের দাম বাড়ানো না হয়। এলএনজি আসার পর যৌক্তিকভাবে দাম বাড়াতে হবে, অযৌক্তিক দাম জনগণ মেনে নেবে না। মূল্য বৃদ্ধি হতে হবে যৌক্তিক ও ন্যায় সঙ্গত।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম বলেন, সিস্টেম লস দেখিয়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি জনগণ মেনে নেবে না। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেড় লাখ টন ও চার হাজার টন কয়লার স্তুপের প্রার্থক্য যাদের চোখে পড়ে না, তারা কিভাবে দায়িত্বে থাকে! এটি খোদ মন্ত্রণালয় থেকে ওই কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এলএনজি মিশ্রিত গ্যাসের মূল্য বাড়ানো নিয়ে ক্যাবের আপত্তি রয়েছে। মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব ও তার ওপর কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন গণশুনানিতে আসেনি। তাই এ শুনানির ভিত্তিতে গ্যাসের মূল্য বাড়ানো নিয়ে ক্যাবের আপত্তি রয়েছে। সিস্টেম লসের নামে তিতাসের মূল্য সমন্বয়ের নামে চার্জ বৃদ্ধিতেও সংগঠনটির আপত্তি আছে।
ক্যাবের প্রস্তাব ও সুপারিশ সমূহের মধ্যে রয়েছে- তিতাসের বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান ব্যবস্থার স্টাডি হতে হবে। গ্যাস খাতের শতভাগ মালিকানা জনগণের নিশ্চিত করতে ব্যক্তিখাতে শেয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ব্যক্তি খাত থেকে শেয়ার সরকারি খাতে ফিরিয়ে আনা।
স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তিতাসকে ব্রেক ইভেনে পরিচালিত হতে হবে। গ্যাস সংকট থাকা পর্যন্ত ইক্যুইটি ভিত্তিক রেট অব রিটার্ন নিশ্চিত হতে হবে। গ্যাস খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে জ্বালানি উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন গ্যাস সংযোগ কমিটি রদ করার প্রস্তাবও জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।