বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আজ পর্যটন শহর কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশন সব ব্যবস্থা করলেও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন পৌরবাসী। নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা। বিএনপি সমর্থীত ধানের শীষের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, জামায়াত সমর্থীত নাগরিক কমিটির প্রার্থী সরওয়ার কামাল ও জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন শিকদার পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মলনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসী মাস্তান দিয়ে ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তবে মুজিবুর রহমান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নে কক্সবাজারবাসী খুশী। তাই আজকের নির্বাচনে কক্সবাজার পৌরবাসী শেক হাসিনার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিপুলভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী
সরওয়ার কামাল এক জরুরী সংবাদ সম্মলনে বলেন, কক্সবাজার পৌরসভায় ভোট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচন হলে কক্সবাজারে লাগাতার হরতালের আগাম ঘোষণা দেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে টেকপাড়ায় তার বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন। সরওয়ার কামাল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম, ঢাকা ও বান্দরবান থেকে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করেছে। তার নেতা কর্মী ও এজেন্টদের হুমকি ধমকি দিয়ে আটক করা হচ্ছ। এপর্যন্ত অর্ধশতাধিক তার নিরর্বাচনী কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ২৯ টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে তিনি বলেন, খুলনা মেয়র নির্বাচনে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে সারাদেশে পরিচিতি পেয়েছিলেন সেই আব্দুল বাতেন এখন কক্সবাজারে অবস্থান করছে। তিনি কক্সবাজার পৌর নির্বাচনেও ইলেকশন মেকানিজম করে নৌকার প্রার্থীকে জিতিয়ে দেয়ার ষড়য়ন্ত্র করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে কারচুপি হলে সারা বিশ্বে দেশের বদনাম হবে। কক্সবাজার পৌরসভায় সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান। সংবাদ সম্মলনে নাগরিক কমিটির আহবায়ক গোলাম কিবরিয়াসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রায় একই ধরণের অভিযোগ এনে পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টীর প্রার্থী রুহুল আমিন শিকদার। নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানান, কক্সবাজার পৌরসভায় ১১ টি ওয়ার্ডে ৮৪ হাজার ভোটারের জন্য রয়েছে ৩৯ টি কেন্দ্র। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সব কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রট ও পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।