মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানি নেতাদের তুমুল সমালোচনা করেছেন। তিনি তাদের মাফিয়া আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ইরান সরকারকে নিয়ে সেসব ইরানি অসুখী, তাদেরকে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কি ধরণের সহায়তা সে সম্পর্কে কোন ধারণা দেননি তিনি। বার্তাসংস্থা রয়টার্স পম্পেওর বক্তব্য উদ্ধৃত করেছে, ‘তাদের দেশ কোন দিকে যাবে এটা এটা নির্ধারণ করা চ‚ড়ান্ত বিচারে ইরানের নাগরিকদেরই বিষয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাগরিকদের দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত কণ্ঠস্বরকে সমর্থন দিতে চায়।’
ক্যলিফর্নিয়াতে অনুষ্ঠিত ইরানি আমেরিকানদের এক সভায় পম্পেও গত রবিবার ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেখানেই ইরানের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন। ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পক্ষের যে পারমাণবিক চুক্তি হয়েছে তার মুখ্য ইরানি প্রতিনিধি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফকে তিনি আন্তর্জাতিক ধোঁকাবাজ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তারা আসলে আয়াতুল্লাহরই ভদ্রবেশী প্রতিনিধি।
গত মে মাসে ২০১৫ সালে হওয়া পারমাণবিক চুক্তিটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোসহ চীন ও রাশিয়া চেষ্টা করছে ইরানের সঙ্গে ওই চুক্তিটি টকিয়ে রাখতে। চুক্তি অনুযায়ী ইরান অস্ত্র তৈরির মাত্রায় পরমাণু সমৃদ্ধকরণ না করতে রাজি হওয়ায় তাদের ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারে রাজি হয়েছিল আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো। চুক্তিটি হওয়ার পর থেকে ইউরোপের প্রচুর বিনিয়োগ গেছে ইরানে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য করবে তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে পার আশঙ্কার মধ্যে থাকতে হবে।
ইরান সরকারকে দুর্নীতির জন্য দায়ী করে পম্পেও বলেছেন, ‘ইরানের শাসকদের যত না সরকার মনে হয় তার চেয়ে বেশি মাফিয়া মনে হয়।’ সংশ্লিষ্ট একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘পারমাণবিক প্রকল্প এবং আরব অঞ্চলের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করিয়ে দিতে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এই বাক্যবাণ। সামনের মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছে। এতে দেশটির সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস তেল রফতানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ঘোষিত হতে পারে।
এদিকে গত রবিবার ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সব যুদ্ধের বড় যুদ্ধ হয়ে দেখা দেবে।’ ইরানের ইসলামি সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টার সমালোচন করে রুহানি ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনি এমন অবস্থানে নেই যে ইরানের নিরাপত্তা ও স্বার্থের বিরুদ্ধে ইরানিদের উস্কে দেবেন।’ আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বলে আসছে, ইরানের সঙ্গে সমস্যার সমাধানে তারা সরকার পরিবর্তনের কথা ভাবছে না। কিন্তু এবার পররাষ্ট্র মন্ত্রী পম্পেও কথা বললেন ভিন্ন সুরে। -রয়টার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।