Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে ভারতীয় ছাত্র খুনে স্বদেশীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

নগরীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসির শিক্ষার্থী আতিফ শেখ খুনের মামলায় তার স্বদেশী উইনসন সিংকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। গতকাল (রোববার) চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ডের কোনো প্রত্যক্ষদর্শী ছিল না এবং কেউ অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দিও দেয়নি। সেজন্য ক্রাইম সিন পর্যালোচনা করে বৈজ্ঞানিক তদন্ত শেষে ফরেনসিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ডিএনএ পরিক্ষায় একমাত্র আসামির খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ইউএসটিসির এমবিবিএসের শিক্ষার্থী মোঃ আতিফ শেখ নগরীর খুলশী থানার লেকভিউ সোসাইটির হাজী ইউসুফ ম্যানশনের বাসায় থাকতেন। গত বছরের ১৪ জুলাই রাতে তার বাসায় স্বদেশী সহপাঠীদের নিয়ে একটি পার্টির আয়োজন করেন। ওই রাত সাড়ে ১০টায় পাশের ফ্ল্যাটে আসামি উইনসন সিংয়ের বাসা থেকে আতিফ শেখকে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উইনসন সিংকে উদ্ধার করা হয় ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকেরা আতিফকে মৃত ঘোষণা করেন। উইনসন সিংকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ভারত থেকে ছুটে আসেন আতিফ শেখের বাবা আব্দুল খালেক। তিনি আকবর শাহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তাতে সুনির্দিষ্ট কাউকে আসামি না করলেও আটজনকে সন্দেহের তালিকায় রাখেন তিনি। এরপর পুলিশ আতিফের সহপাঠী ভারতীয় আরেক ছাত্র নিরাজ গুরুকে গ্রেফতার করে। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে নিরাজ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং রক্তাক্ত অবস্থায় আতিফকে ও আহত অবস্থায় উইনসন সিংকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান।
থানা পুলিশের কাছ থেকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে পিবিআই উইনসং সিংকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখায়। তাকে রিমন্ডে নিয়ে দুই দফা জিজ্ঞাসাবাদের পরও কোন তথ্য আদায় করতে না পেরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তদন্ত কর্মকর্তা। কারণ সে নিজেকে স্মৃতিভ্রমের রোগী বলে দাবি করে। আদালতের নির্দেশে গঠিত মেডিকেল বোর্ড ‘উইনসন সিং স্বেচ্ছায় মূল ঘটনা এড়িয়ে যাচ্ছে’ বলে মত দিয়েছিল। চিকিৎসকের মতামত নিয়ে উইনসন সিংকে তৃতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়েও কোনো তথ্য না পেয়ে ডিএনএ পরীক্ষার অবেদন করে তদন্ত কর্মকর্তা। আদালতের আদেশ পেয়ে গত ২১ জানুয়ারি উইনসন সিং ও নিরাজ গুরুর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকার সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে পাঠায় পিবিআই। পরিক্ষায় উইনসন সিংয়ের ডিএনএর মিল পাওয়া গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ