নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত বছর অভিষেক। তবে পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছিলেন সে বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। ফাইনালে তার সেঞ্চুরিতেই চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলো পাকিস্তান। সেই যে শুরু, রেকর্ডের ফুলঝুরি ছুটিয়ে এখনও চলছে ফখর জামানের ব্যাট।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগের ম্যাচে প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ তুলে নিয়েছিলেন এই ওপেনার। গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচে ৩৮ বছরের পুরোনো এক রেকর্ড ভেঙেছেন দেশটির গর্ব ফখর। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রæততম ১ হাজার রানের রেকর্ড এখন তার দখলে। কীর্তিটি গড়ার পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন ভিভ রিচার্ডসের মতো কিংবদন্তিকে। শুধু কি তাই, এই রেকর্ডের ভিড়ে রেকর্ড-বৃষ্টিই ঝরেছে ফখরের ব্যাটে!
প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে আগেই ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। বুলাওয়েতে এদিন জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে টস জিতে আগে ব্যাটিং করেছে সরফরাজ আহমেদের দল। ষষ্ঠ ওভারে চাতারাকে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ভিভের রেকর্ডটি ভেঙে ফেলেন ফখর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কিংবদন্তি ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্রæততম ১ হাজার রানের রেকর্ডটি গড়েছিলেন। সেটি ছিল ভিভের ২১তম ইনিংস।
ভিভ সেই রেকর্ড গড়ার পর ২১তম ইনিংসে এসে ১ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন আরও চারজন- কেভিন পিটারসেন, জোনাথন ট্রট, কুইন্টন ডি কক ও বাবর আজম। কিন্তু তাঁরা কেউ ভিভকে টপকে যেতে পারেননি। ফখর সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন নিজের ১৮তম ইনিংসে। ৩ ইনিংস ব্যবধানে মাইলফলকটি ছুঁয়ে সবাইকে পেছনে ফেলেছেন ২৮ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান। আগের ম্যাচের অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরিতে হাজারের দুয়ারে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফখর। ওয়ানডেতে দ্রæততম হাজারী হতে এদিন তার প্রয়োজন ছিল ২০ রান। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার পথটুকু পাড়ি দেন অনায়াসেই। সেঞ্চুরির সুবাস পেয়েও শেষ পর্যন্ত ৮৫ রানে ফিরে গেছেন তিনি। কিন্তু তার ওপেনিং সতীর্থ ইমাম-উল-হক ঠিকই সেঞ্চুরি (১১০) তুলে নিয়েছেন। তার ও বাবর আজমের (১০৬*) সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৩৬৪ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত (৩১ ওভার শেষে) ২ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১৪৮।
ওপেনিং জুটিতে ১৬৮ রান তুলেছেন ফখর ও ইমাম। এর মধ্যে দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রথম জুটি হিসেবে ছয় শ’র বেশি রান তোলার রেকর্ড গড়লেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ইমামের সেঞ্চুরিটি সিরিজে তার তৃতীয় তিন অঙ্কের ইনিংস। অর্থাৎ, ওয়ানডেতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের প্রথম ১০ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার রেকর্ড এখন ইমামের। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজে ফখরের কীর্তিই বেশি।
পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন ফখরের রানসংখ্যাই সর্বোচ্চ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ ম্যাচে তার রানসংখ্যা ৫১৫। এই পথে তিনি ভেঙেছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ৪৬৭ রানের রেকর্ড। ২০০৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে সিরিজে এই মাইলফলক গড়েছিলেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার। সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন মাইলফলক গড়ার পথে আরও একটি কীর্তি গড়েছেন ফখর। সেটিও বেশ চমকপ্রদ।
এই সিরিজে শুধু প্রথম আর শেষ ম্যাচেই ফখরকে আউট করতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। এরপর মাঝে তিন ম্যাচে তার স্কোর যথাক্রমে- ১১৭*, ৪৩* ও ২১০*। অর্থাৎ তিন ম্যাচেই অপরাজিত! সঙ্গে গতকাল আউট হওয়ার আগের স্কোরটা (৮৫) যোগ করে ফখর টপকে গেছেন মোহাম্মদ ইউসুফের এক অনন্য রেকর্ডকে। পাকিস্তানের সাবেক এই ব্যাটসম্যান ২০০২ সালে আউট হওয়ার পর থেকে পরেরবার আউট হওয়ার মাঝে সর্বোচ্চ ৪০৫ রানের রেকর্ড গড়েছিলেন। ফখর সেই রেকর্ডটাও লিখিয়েছেন নতুন করে (৪৫৫ রান)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।