Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মাদকে মিয়ানমারের অসহযোগিতা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, মাদক নির্মূলে মিয়ানমার সহযোগিতা করছে না। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১৯৯৪ সালে মাদক নির্মূলের ব্যাপারে চুক্তি হয়। মিয়ানমারকে তালিকাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা এ যাবত নেয়নি। চুক্তির পর থেকে মিয়ানমারের সাথে বৈঠক হয়েছে মাত্র তিনটি। তারা বৈঠকেও সাড়া দেয় না। এ নিয়ে মিয়ানমারের আগ্রহ দেখা যায় না। আগের তিনটি বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত আজও বাস্তবায়ন করেননি।
গতকাল (শনিবার) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট বিভাগ, কারা কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মাদক নির্মূলের বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় সচিব একথা বলেন। দেশের অভ্যন্তরে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন নির্মূলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়ে সচিব মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, দেশে মাদকের ভয়াবহতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা মাদক উৎপাদনকারী দেশ নই, মাদক ভোগকারী ও এর শিকার। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে মাদকদ্রব্য দেশে প্রবেশ করছে। আমরা পাশ্ববর্তী দেশের মাদক প্রবেশ বন্ধের চেষ্টা করছি, তবে তাদের অসহযোগিতার কারণে পুরোপুরি তা সম্ভব হচ্ছে না।
মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী উল্লেখ করেন, মাদক পাচার রোধে ভারতের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয়। আমরা সীমান্তের নিকটবর্তী মাদক কারাখানাগুলোর তালিকা ভারতকে দিয়েছিলাম। তারা সীমান্তের পাশে মাদক উৎপাদন কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। ভারত থেকে মাদকদ্রব্য আসা অনেক কমে গেছে। তিনি বলেন, এখন আমাদের সচেতন হতে হবে। মাদকের সঙ্গে যারা জড়িত তারা সমাজে প্রভাবশালী। প্রমাণ পেলে আমরা তাদেরকেও ছাড় দেই না। এদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে সবাইকে মাদক নির্মূলে সম্পৃক্ত করতে চাই।
সচিব বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একটি পঙ্গু প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এ প্রতিষ্ঠানে জনবলের অভাব রয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে তাদেরকে অন্য সংস্থার সাহায্যের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয়। এ সংস্থাকে শক্তিশালী করা হবে, ১৯৯০ সালের মাদক আইনের সংশোধনী আনা হচ্ছে। মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হচ্ছে। এটি মাদকের গডফাদারদের ধরতে কার্যকর হবে। শিগগিরই এ আইন পাশ হবে। তিনি জানান, দেশে ইয়াবা প্রবেশের প্রধান রুট কক্সবাজারে মাদক নির্মূলে বিশেষ জোন করার পরিকল্পনা রয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উক্ত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াস হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সর পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ, কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটোয়ারী, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট বিভাগের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন নোমান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদক

২২ অক্টোবর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ