Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবারো বেপরোয়া কুবি ছাত্রলীগ

কুবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। এসব ঘটনা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসলেও তেমন কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় এমন সংঘর্ষ দিন দিন বাড়ছে বলে মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বেশ কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষ মদদে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ঘটেছে তিনটি পৃথক মারধরের ঘটনা। বুধবারের মারধরের জের ধরে বৃহস্পতিবার মারধরের শিকার ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজল খাঁনের ছেলে ইকবাল খাঁনকে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এসব সংঘর্ষে আহত হয় অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী।
জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১১ তম ব্যাচের মাঈন নামে এক শিক্ষার্থীর সাথে একই বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সালমানের কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার এক পর্যায়ে সালমান উত্তেজিত হয়ে বিভাগের সিনিয়র মাঈনের গায়ে হাত তোলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঐ ঘটনার সমঝোতার জন্য মাঈন তার বিভাগের সিনিয়র ৯ম ব্যাচের ইকবাল খানসহ কয়েকজনের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন। সালমানকে ডেকে আনায় সে উত্তেজিত হয়ে কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে এসে ইকবালসহ তার বন্ধুদের ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনেই বেধড়ক মারধর করে। এতে ইকবাল গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসে। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
জানা যায়, মারধরের নেতৃত দেয়া প্রত্যেকেই শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। শাখা ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আহমেদ আলী বুখারী, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক মুনতাসির আহমেদ হৃদয়, উপ-মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মো. এনায়েত উল্লাহ, সদস্য মো. মিরাজ খলিফা, ছাত্রলীগ কর্মী রাফিউল আলম দীপ্তসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ ও ১২ তম ব্যাচের বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা এ মারধরের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। এছাড়া গত বুধবার বাসে সীট রাখাকে কেন্দ্র করে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলামকে ক্যাম্পাসের প্রধান গেটের কয়েক হাত দূরেই বেধড়ক মারধর করে শাখা ছাত্রলীগের বশ কয়েকজন নেতাকর্মী। যাদের মধ্যে অনেকেই বৃহস্পতিবারের মারধরের সঙ্গে জড়িত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, যেখানে ছাত্রলীগ আমাদের সহযোগীতা করার কথা সেখানে ছাত্রলীগ নামটি আমাদের কাছে কেবলই আতঙ্কের নাম। কিন্তু এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবরের মতই নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ জানান, ‘মারধরের ঘটনাটি ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘আমি শুনেছি র‌্যাগ দেয়াকে কেন্দ্র করে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোন অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি। তবে বিভাগের শিক্ষকরা এ বিষয়টি সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগ

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ