বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ১০ বছরের শিশু সানজিদা আক্তারকে হত্যার অভিযোগে এক শিক্ষক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও ঘটনার পর থেকে সানজিদার পরিবার ওই দম্পতির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেছিল। তবে পরিবারটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। ঘটনার প্রায় তিন মাস পর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তাতে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়ার কথা উল্লেখ থাকায় গতকাল যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, গ্রেফতার শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মনি ও তার স্বামী মোরশেদ আলমকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল উত্তর যাত্রাবাড়ীর স্কুল শিক্ষিকা নুসরাত জাহান মনির বাসায় (বিবির বাগিচার ২ নং গেটের ৭২/২/২- এম বাসা) অন্য শিশুদের সঙ্গে পড়তে যায় সানজিদা। ওইদিন নুসরাতের শোওয়ার ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সানজিদার লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর সানজিদার পরিবার হত্যার অভিযোগ করলেও নুসরাত ও তার স্বামী সেটি অস্বীকার করে আসছেন। তাদের দাবি, সানজিদা খেলতে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফাঁস লেগে মারা যায়। ঘটনার দিন যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়।
সানজিদার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গত ২৩ এপ্রিল সানজিদার লাশ তার বাবা গাড়িচালক মো. শাহজাগান ও মা জান্নাতি বেগম তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিয়ে যান। সেখানেই লাশ দাফন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সানজিদার লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যাত্রাবাড়ী থানায় পৌঁছায়। এতে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত মিলেছে বলে জানান ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী। এরপর ওই দম্পতিকে তাদের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সানজিদার বাবা অভিযোগে বলেন, আমরা প্রথম থেকেই এ বিষয়ে অভিযোগ করে আসছি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। এলাকাবাসী জানান, শিক্ষিকা নুসরাত তার স্বামীর সঙ্গে বিবির বাগিচার ভাড়া করা বাড়ির ৫ম তলায় থাকেন। ওই ফ্ল্যাটে এলাকার অনেক শিশুকে পড়ান। সানজিদাও ওই বাসায় গিয়ে পড়তো। ডিএমপির ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়েছি। সেখানে শ্বাসরোধে হত্যার কথা বলা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল। আমার এখন হত্যা মামলা নেবো। তিনি জানান, ধর্ষণের বিষয়ে ফরেনসিক রিপোর্ট আসার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।