পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সব ধরণের সহায়তা ও নির্বাচিত হলে রাসিককে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে লিখিত ১৩দফা অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজশাহী সিটির চার মেয়রপ্রার্থী। অনুপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটির উদ্যোগে শনিবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর মুনলাইট গার্ডেন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সুজন রাজশাহী মহানগর কমিটির সভাপতি মো. পিয়ার বক্স এর সভাপতিত্বে এবং সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুজন রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি সফিউদ্দিন আহমেদ ।
জাতীয় সংগীতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের শুরুতেই সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকরা মেয়র প্রার্থীদের কাছে তাদের প্রত্যাশার কথা জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে দর্শক সারি থেকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী উপস্থিত ভোটার ও প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানান। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে কে আগে বা পরে বক্তব্য প্রদান করবেন তা লটারীর মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিএনপি মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো ও জনগণের ভোট যারা দখল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিগত সময়ে মেয়র থাকাকালীন বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে নগর উন্নয়নে পরিকল্পনা করে জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবো। ২০৫০সালের মধ্যে রাজশাহীকে পৃথিবীর উন্নত নগরীতে উন্নীত করতে সকলের কাছে ভোট চান।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. মুরাদ মোর্শেদ বলেন, নির্বাচিত হলে রাজশাহী সিটিকে দৃষ্টিনন্দন একটি নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। রাজশাহী সিটি হবে মানবিক মর্যাদা সম্পন্ন নগরী। যেখানে সকল নাগরিক সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি রাজশাহী সিটি একটি মডেল হবে এই অভিমত ব্যাক্ত করেন। সে জন্য সকল ভোটারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান রাজশাহী নগরীরর জলাবদ্ধতা নিরসন, সড়ক উন্নয়নসহ নাগরিক সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন বলে ঘোষণা দেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জনগণের উন্নয়ন আর প্রতিশ্রুতির ফুল ঝুঁড়ি দিতে চাই না। জনগণ সবার ওপরে। নির্বাচিত হলে নগরভবনে নগরপিতা হিসেবে নয়, সেবকভবনে নগরের সেবক হিসেবে বসতে চাই।
সুজন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজশাহী সম্প্রীতির শহর, আমি বিশ্বাস করি, শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন ভোটাররা। ভোটারদের উদ্দেশ্যে দেখে শুনে বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ মনোনিত অপর প্রার্থী এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন তাঁর আতœীয় মারা যাওয়ায় কারণে উপস্থিত হতে পারেননি বলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার প্রার্থীর পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করেন। এসময় তাঁর সাথে রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুজন, পিস প্রেসার গ্রপসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বিএনপির গণসংযোগ
বিএনপি ২০দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল শনিবার সকাল ৮টা থেকে ২৮নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করে তার প্রচারণা শুরু করেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, পুঠিয়া দূর্গাপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। এসময়ে সমর্থকরা ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। এলাকার জনগণ বলেন বর্তমান সরকারের নির্যাতন ও অগণতান্ত্রিক কার্যক্রমে প্রতিটি জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিএনপি করায় তাদেরকে নানা ধরনে নির্যাতন, হুমকি সহ্য করতে হচ্ছে। সরকার দলীয় লোকজন এবং পুলিশ বাড়িতে এসে নৌকার পক্ষে কাজ করার এবং ভোট দিতে চাপ প্রয়োগ করছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
লিটনের গণসংযোগ
আওয়ামী লীগ মনোনীত, মহাজোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে নগরীরতে শিল্পায়নের মাধ্যমে এক লাখ ছেলে- মেয়ের চাকরি ব্যবস্থা করবো। গত পাঁচ বছরে পিছিয়ে যাওয়া রাজশাহীতে ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। আমি যা করতে পারি, সেটাই বলি। আমাকে ভোট দিন, মেয়র নির্বাচিত হলে উন্নয়ন বুঝে নিবেন।’ গতকাল শনিবার নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগের সময় ভোটারদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এরপর বুধপাড়ার নজিরের মোড়, সেলিমের মোড়, জনাবের মোড়, মধ্য বুধপাড়া, পশ্চিম বুধপাড়া, পশ্চিম বুধপাড়া মসজিদের মোড়, স্কুল মোড় এলাকায় গণসংযোগ করেন খায়রুজ্জামান লিটন। গণসংযোগের সময় নগরীর উন্নয়নে বিভিন্ন শ্রুতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
এদিকে সকালে গণসংহতির প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদের সমর্থনে হাতি প্রতিক নিয়ে প্রচারণা মিছিল বের হয়। এতে নেতত্ব দেন জোনায়েদ সাকি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।