Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাতৃভূমিতে ব্যতিক্রমধর্মী বিক্ষোভের মুখে ট্রাম্প

যে কারণে হাজারো মানুষ লন্ডনের রাস্তায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

দুই দিনের সফরে স্কটল্যান্ডে গিয়ে ব্যতিক্রমী এক বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইংল্যান্ডে দুই দিনের সফর শেষে তিনি স্কটল্যান্ড পৌঁছান। ইংল্যান্ডেও তার বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। ট্রাম্পর মা একজন স্কটিশ। ট্রাম্প আয়ারশায়ারের টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি কাটাবেন। এটাকে ব্যক্তিগত সফর হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে ট্রাম্পকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানটি প্রেস্টইউক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ট্রাম্পের আগমনকে ঘিরে আগে থেকেই গøাসগোর জর্জ স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টার্নবেরি পৌঁছানোর পর পরই ব্যতিক্রমী এক প্রতিবাদের মুখে পড়েন। ‘ট্রাম্পের গড়পড়তা মান অনেক নিচে’ লেখা একটি ব্যানার নিয়ে তার রিসোর্টের পাশেই একজন পাওয়ার প্যারাগিøডারকে উড়তে দেখা যায়। ‘দ্য স্কটল্যান্ড ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট ট্রাম্প’ ব্যানারে প্রায় তিন হাজার বিক্ষোভকারী গ্লাসগো বিক্ষোভে অংশ নেবে বলে জানিয়েছিল আয়োজকরা। ট্রাম্পর ‘বিভক্তি এবং ঘৃণার রাজনীতি’র বিরুদ্ধে বার্তা দিতে তারা এই বিক্ষোভের আয়োজন করেন। ট্রাম্প প্রায় সময় স্কটল্যান্ড এবং দেশটির জনগণের প্রতি তার ভালোবাসার কথা বলে থাকেন। তিনি অনেকবার স্কটল্যান্ডে এসেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম তিনি স্কটল্যান্ডে আসলেন। এর আগে খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের প্রতিবাদে লন্ডনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছেন। ট্রাম্প ব্রাসেলসে ন্যাটোর সম্মেলন শেষে তিনদিনের এক সফরে বৃহস্পতিবার লন্ডনে এসে পৌঁছেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরসূচি চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সকাল থেকেই রাস্তায় রাস্তায় এই প্রস্তুতি চোখে পড়ছে, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ব্যানার ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতে শুরু করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুসলিম ও অভিবাসনবিরোধী নীতিসহ আরও কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে বর্ণবাদী আচরণেরও। স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করার পর তাদের পরিবার থেকে শিশুদেরকে বিচ্ছিন্ন করে রাখারও তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে লন্ডনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এজন্য লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশকে সারা দেশ থেকে পুলিশ পাঠিয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চার হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এজন্য খরচ হবে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ ডলার। এই বিক্ষোভের ব্যাপারে সচেতন আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও। বলেছেন, এ নিয়ে তিনি মোটেও উদ্বিগ্ন নন। এদিকে ব্রিটেনের ‘ব্রেক্সিট পরিকল্পনার’ সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে ব্রিটেন যদি এ ধরনের চুক্তি করে, তাহলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিতে পারে। আমি এটা অন্যভাবে করতাম। আমি আসলে থেরেসা মে-কে বলেছিলাম কীভাবে কী করতে হবে, কিন্তু তিনি তো আমার কথা শোনেননি।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিবিসি,সিএনএন, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • নাঈম ১৫ জুলাই, ২০১৮, ২:১৮ এএম says : 0
    ট্রাম্প সাড়া বিশ্বের জন্য অশান্তির কারণ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ