পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের ধৈর্য্য ধরতে অনুরোধ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন তার প্রতি আস্থাও রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রীর দাবি, কোটা সমস্যা সমাধানে ‘রাইট ট্র্যাকে’ রয়েছে সরকার।
শনিবার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর বনানীতে সেতুভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন,‘কোটা সংস্কার আন্দোলন কিংবা কোটা সমস্যা সমাধানে সরকার এখন পর্যন্ত রাইট ট্র্যাকে আছে। একটা কমিটি গঠন হয়েছে। কেবিনেট সেক্রেটারির নেতৃত্বে এই কমিটি খোঁজখবর নিচ্ছে। অন্যান্য দেশেরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। আমার মনে হয় বিষয়টা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা আছেন আমি তাদের অনুরোধ করবো ধৈর্য্য ধরার জন্য। প্রধানমন্ত্রী যে স্টেপ নিয়েছেন সে পদক্ষেপের প্রতি আস্থা রেখে আরেকটু ধৈর্য্য ধরতে অনুরোধ করবো।’
কোট সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীর যেটা বক্তব্য, ভাইস চ্যান্সেলরের বাড়িতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, যে নারকীয় তাণ্ডব, তার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকেই কেবল তারা খুঁজে খুঁজে গ্রেফতার করছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন বিতর্কে আমি যেতে চাই না। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সুদৃঢ়। রোহিঙ্গা সঙ্কটে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন মানবিকতার দরজা খুলে দিয়েছিলেন তখন থেকেই ওয়াশিংটন আমাদের পাশে রয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশ সংকটে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই মানবিক ভূমিকা পালন করছে।’
পৃথিবীর কোনো দেশের অভ্যন্তরীন বিষয় বা ওয়াশিংটনের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে কখনও কথা বলেননি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কখনও কোন মন্তব্য করি না। আমি আমাদের কথাটাই শুধু বলেছি। আমাদের মধ্যে এ প্র্যাকটিস আছে যে বন্ধুদেশের রাজনৈতিক হোক অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক যে বিষয়ই হোক অন্যদেশ হিসেবে আমাদের নাক গলানো সমীচিন মনে নয়।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত গাজীপুর বা খুলনার নির্বাচনে যে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন সেগুলোর বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সরকার বরাবরই একই অবস্থানে আছে। অনিয়ম যেখানে সেখানে তো নির্বাচন কমিশন, খুলনায় যা হয়েছে ব্যবস্থা নিয়েছে, গাজীপুরেও ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা যদি আরও অন্য কোন অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করতে চায়, সেটা নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করে। এ অধিকার নির্বাচন কমিশনের।’
তবে সামনের নির্বাচনগুলোকে আরো ভালো করতে নির্বাচন কমিশনকে সরকার সব ধরনের সহযোগীতা করবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বৈঠক শেষে মার্শা বার্নিকাট বলেন, ‘আমরা উভয় দেশই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমাদের দেশের সংবিধান কথা বলার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। দেশের জনগণের মতোই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মচারীদেরও যেকোন বিষয়ে কথা বলার স্বাধীনতা রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সকল কিছুর সমাধান আসবে আমরা এমনটা বিশ্বাস করি। ওয়াশিংটন কখনও আলোচনার দরজা বন্ধ করে না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। এটা যেকোন শাসন ব্যবস্থা থেকে ভালো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।