পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে উৎখাত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে জিয়া আদর্শ একাডেমির আয়োজনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন। মওদুদ আহমদ বলেন, এই সরকারকে উৎখাতের একমাত্র পথ হলো জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি করে মাঠে নামা। আপনারা মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত হন। মাঠে নামতে হবে যদি আপনারা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চান। যদি আপনারা দেশে আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে চান, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে মাঠে নামতে হবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কেন আমরা কোন কঠোর কর্মসূচি দিচ্ছি না এ নিয়ে আপনারা আমাদের সমালোচনা করেন । কিন্তু কর্মসূচি দিতে একটা সময়ের প্রয়োজন। আমরা এমন সময় একটা কর্মসূচির দিলাম দেখা গেল, সেই কর্মসূচি ব্যর্থ হলো। এখনো সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে দেখতে পাচ্ছেন না? উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কর্মসূচি দেয়া হবে। সে কর্মসূচির জন্য প্রস্তুতি নিন।
তিনি বলেন, বিনা চ্যালেঞ্জে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। এখন সময় এসেছে অপশাসনের প্রতিবাদ জানানোর। এই সরকারকে প্রতিরোধ করতে হবে আগামী সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই। আর মাত্র আড়াই মাস সময় আছে। এই আড়াই মাসে আমরা চেষ্টা করছি সরকারের বাইরে যারা আছে সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির। আপনার মাঠে নামার প্রস্তুতি নেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সেনা মোতায়েন করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে এবং নির্বাচন কমিশন পূণগঠন করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ভারতসহ সকল বন্ধু রাষ্ট্র গুলো মনে করে বাংলাদেশে একটা অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন হতে হবে। সেটা হতে হবে বিএনপির অংশগ্রহণে। বিএনপিকে ছাড়া এদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। কারণ বিগত নির্বাচনে দেখেছি, ইসি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে নি। আগামী তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করব কারণ দেখতে চাই ইসি কি করেন। ওই নির্বাচন পরিচালনা দেখে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনে সোহেল, রাশেদ, নুরু এবং যাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে তাদের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। ১১ই জুন প্রধানমন্ত্রী বললেন- কোটা বাতিল করা হবে। ২৭ জুন আবার তিনি পুনরায় বললেন কোটা থাকবে। কোটা আন্দোলনকারীদের যে আন্দোলন দেখেছেন তার চেয়ে বহুগুণ আন্দোলন দেখবেন, যদি তাদের দাবি না মেনে নেয়া হয়। তাই অবিলম্বে এসব শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নিন।
জিয়া আদর্শ একাডেমির সভাপতি মোহাম্মদ আজম খানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।