Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজপথে নামতে দেশের জনগণ প্রস্তুত : মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, দেশের মানুষ রাস্তায় নামতে প্রস্তুত হয়ে গেছে। উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত কর্মসূচি দেয়া হবে। সেই কর্মসূচিতে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য হবে। কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর আদালতের রায়ের কারণ দেখিয়ে সেই অবস্থান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, আমি বিশ্বাস করি নির্বাচনের আগেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। সরকার যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন কোনো ষড়যন্ত্রেই কাজ হবে না। তাকে মুক্ত করেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। খালেদা জিয়াকে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আদালতের মাধ্যমে কারাবন্দি করে রেখেছে।
খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারের একজন বললেন কোটা আন্দোলনকারীরা সন্ত্রাসী আরেকজন বললেন তারা জঙ্গি কিন্তু দেশবাসী জানে এ সমস্ত সাধারণ ছেলেরা জমি বিক্রি করে পড়ালেখা করছে তারা সবাই গরিব পরিবারের সন্তান। আজ সুহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে তরিকুলকে হাতুড়ি দিয়ে তাঁর পা, মেরুদন্ড ভেঙে দেয়া হয়েছে। চাষীদের মা হাহাকার করে বলেছে আমার সস্তানকে ফিরিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী আপনিও তো একজন মা। তাহলে কিভাবে কোটা আন্দোলনকারীদের দমন করছেন। তিনি বলেন, আসলে কথা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেন নাই। এই কথাটা বাংলাদেশের মানুষ এবং আমাদের নতুন প্রজন্ম যারা ১০-৩০ বছর বয়স, তারা এটা মনে রাখবে যে বাংলাদেশের একজন প্রধানমন্ত্রী- তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন নাই। যে কথা দিয়ে এখন উনি বা সরকার সরে যেতে চাইছেন, সেই কথাটা মোটেও টেকসই নয়, মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এই কারণে যে, যদি আপনারা সত্যিকার অর্থে প্রধানমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী কোটা পদ্ধতি প্রত্যাহার করে নিতে চান তাহলে ৃ যদি বাধা থাকে হাই কোর্টে সেটা আপনারা অবশ্যই দূর করতে পারেন। যদি নিয়ত ঠিক থাকতো তাহলে এটাই করতেন। তাই এ আদেশ অগ্রাহ্য করে বা পাশ কাটিয়ে বা উপক্ষো করে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা করা হলে আদালত অবমাননার শামিল হবে বলে আমি মনে করি।
মওদুদ বলেন, দেখলাম যে, সরকার পক্ষ বলার চেষ্টা করছেন এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন যে, হাই কোর্টের না কি একটা রায় আছে। হাই কোর্টে এই ধরনের কোনো রায় আছে বলে আমি মনে করি না। তারপরও যদি হাইকোর্টে এই ধরণের কোনো রায় থাকে তা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ব্যাপারে আছে, তাদের নাতি-নাতনিদের ব্যাপারে আছে বলে আমি মনে করি না।
প্রধানমন্ত্রীর কথা রক্ষা করার জন্য সরকার হাই কোর্টে গিয়ে এই ব্যবস্থা সংশোধন করতে পারে বলে মত দিয়ে মওদুদ বলেন, তাহলে স্বাভাবিক লজিক্যাল জিনিস হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এটর্নি জেনারেল একটু কষ্ট করে রোববারে একটু যান, সোমবারে বিষয়টা যদি লিস্টে আনেন, একটু সংশোধনী করিয়ে নেন, একটু উইথ ড্র করিয়ে নেন, একটু রিভিউ করিয়ে নেন - কতরকমের পথ আছে। যদি নিয়ত ঠিক থাকতো তাহলে এটাই করতেন।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বাবুলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জারুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন,নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমীন, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা সোয়াইব আহমেদ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মওদুদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ