বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহেশপুরের পর এবার সোনা চোরাচালান পাচারের ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহ মাগুরারা সীমান্তে। দুইটি প্রাইভেট কারের মধ্যে একটি থেকে ৪০ ভরি সোনার বার উদ্ধার করেছে ঝিনাইদহ পুলিশ। বাকী একটির হদিস মেলেনি। এ নিয়ে প্রশাসনে ব্যাপক হৈ চৈ শুরু হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার বিকালে শ্রীকান্ত পাল (৪০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। সে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদি এলাকার সরোজ পালের ছেলে। তাকে ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কের পোড়াহাটী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবী করা হচ্ছে। জানা গেছে, দুটি প্রাইভেট কারে সোনার একটি বড় চালান মাগুরা হয়ে ঝিনাইদহে আসছিলো। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহের হাটগোপালপুর বাজারে পৌছালে সাদা পোশাকের লোকজন গাড়িটি আটক করে নিরুদ্দেশ হয়। ওই গাড়িতে সোনার বড় চাালান ছিল বলে মানুষ জল্পনা কল্পনা করছে। ঘটনার সময় সাদা পোশাকে পুলিশ ছিল নাকি অন্য কেও ছিল তারও তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, আমরা এক সাংবাদিকের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে একটি প্রাইভেট কারসহ একজনকে আটক করি। ওই প্রাইভেট কারে ৪০ ভরি সোনা পাওয়া যায়। তিনি বলে এর আগে হাটগোপালপুর এলাকায় সাদা পোশাকে অপর একটি গাড়ি কে বা করা নিয়ে চলে যায়। সেটি মাগুরার পুলিশ হতে পারে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অনুসন্ধান করছে। প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, দুইটি প্রাইভেট কার ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল এলাকায় তারা ঘোরাঘুরি করতে দেখেছে। সে সময় সিলভার কালারের প্রাইভেট কার দুইটির নাম্বার প্লেট কাদা দিয়ে ঢাকা ছিল। সঙ্গে ছিল সাদা পোশাকের লেঅকজন। থানায় আনার সময় দেখা গেল গাড়ির নাম্বার প্লেট ফর্সা। ঝিনাইদহ শহরের কোন স্থান থেকেই এই সোনা গায়েবের ঘটনা ঘটতে পারে। কারা এই বৃহৎ সোনা গায়েব করলো তা তদন্ত হওয়া দরকার বলে অনেকেই মত দিয়েছেন। উল্লেখ্য ইতিপুর্বে মহেশপুরে একটি পারিবহনে ডাকাতি ও পরিবহন থেকে সাদা পোশাকে সোনা গায়েব করা নিয়ে ওসিসহ ১২ পুলিশ ক্লোজ হয়েছে। ঝিনাইদহ ডিবির ওসিসহ একটি টিম সম্প্রতি একযোগে বদলী করা হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সোনা উদ্ধার নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।