মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল ন্যাটো সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের ব্যক্তিগত বিজয়ের দাবি করেছেন। ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দের সামনে দীর্ঘ বক্তৃতায় সঙ্কটের বিষয়টি তুলে ধরার পর তার মিত্ররা প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে রাজি হয়েছেন বলে মনে করে তিনি। ব্রাসেলসে ন্যাটোর সম্মেলন শেষে এক সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সবাইকে বলেছি যে, তারা তাদের প্রতিশ্রæতি না বাড়ালে আমি অখুশি হবো’।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের এখন অনেক ক্ষমতাবান ও শক্তিশালী ন্যাটো আছে। দুই দিন আগের চেয়েও এটা অনেক বেশি শক্তিশালী।’ ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলেনবার্গকে উদ্ধৃত করে ট্রাম্প বলেন, ‘স্টলেনবার্গ আমাদেরকে মানে আমাকেই সব কৃতিত্ব দিয়েছেন। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে পুরো কৃতিত্ব আমার। কারণ আমি বলেছি, এটা অনায্য’।
ন্যাটোর বাজেটের কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘পরিমাণটা রকেটের মতো দ্রæত বেড়ে গেছে। তা আরও বাড়বে’। তিনি বলেন, ‘ওই কক্ষের সবাই একমত হয়েছে আর তারা আরও অর্থ দিতে রাজি হয়েছেন। তারা আরও দ্রæত এই অর্থ দিতেও রাজি হয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের জানিয়েছি যে, আমি চরমভাবে অখুশি ছিলাম’। তবে আলোচনা সবচেয়ে ভাল অব্স্থায় শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শেষে সবাই এক হয়ে গেছেন। তবে অল্প সময়ের জন্য এটা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল’।
ন্যাটো সম্মেলনের বৃহস্পতিবারের আলোচনায় সংকট সমাধানের জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে জোরাজুরি করে অন্যান্য নেতারা। বৈঠকের কর্মকর্তারা বলেন, ট্রাম্প উপস্থিত অনেককে কষ্ট দিয়েছেন। তিনি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের নামে প্রথম অংশ ‘অ্যাঙ্গেলা’ নামে ডেকে কূটনৈতিক শিষ্টাচারও লঙ্ঘন করেছেন। ট্রাম্প তাকে বলেছেন, ‘অ্যাঙ্গেলা, আপনারই এই ব্যাপারে কিছু করা দরকার’।
আফগানিস্তান ও জর্জিয়ার মতো ন্যাটো-বহির্ভূত দেশের অনেক আমন্ত্রিত অতিথিকেও বৈঠক থেকে বের করে দেওয়া হয়। রাশিয়ার কারণে সবচেয়ে ভয়ে থাকা লিথুনিয়ান প্রেসিডেন্টকে সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে ওই নেতা বিষয়টি অস্বীকার করেন। বিষয়টি তুলে ধরা হলে ট্রাম্প জানান, তিনি চাইলে কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই তা করতে পারেন। কিন্তু তার আর দরকার পড়বে না।
ট্রাম্প বলেন, ন্যাটোর বাকি ২৮ সদস্য তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে রাজি হয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে তাদের জাতীয় আয়ের ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। ২০২৪ সারের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণের জন্য এই প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন ন্যাটোর নেতারা। তবে কয়েকটি দেশকে ওই লক্ষ্য পূরণে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।