বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান (৩৪) হত্যার রহস্য প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। বন্ধুর আমন্ত্রণে বনানীর একটি জন্মদিনের উৎসবে গিয়ে খুন হন এই কর্মকর্তা। এ ঘটনায় একজনকে আটক করলে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশের কাছে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের বিভিন্ন টিম অভিযান চালাচ্ছে। মামুন হত্যা মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মর্তাদের সূত্রে এসব বিষয় জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত রোববার রহমত উল্লাহ নামে এক বন্ধু মামুনকে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বনানীর একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে কথিত এক মডেলের সঙ্গে মামুনের কিছু আপত্তিকর ছবি তুলে তাকে বøাকমেইল করার চেষ্টা করা হয়। তিনি নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিলেও চক্রের লোকজন বিষয়টি পাত্তা দেয়নি। তারা মামুনকে বেদম মারধর করলে তিনি মারা যান। পরে গাজীপুরের কালীগঞ্জের উলুখোলার একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে মামুনের লাশ পুড়িয়ে ফেলে তারা।
পুলিশ বলছে, মামুনকে হত্যার ঘটনায় রহমতসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেছেন মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান। এ মামলায় রহমতকে গ্রেফতার দেখিয়ে গত বুধবার আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পূর্ব বিভাগ। রহমত পেশায় প্রকৌশলী হলেও তিনি নিজেকে শোবিজ জগতে লোক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
রহমত ছাড়া মামুন হত্যা মামলার বাকি ৯ আসামি হলো- শেখ হৃদয় ওরফে আপন, স্বপন, দিদার, মিজান, আতিক, রবিউল, সুরাইয়া আক্তার ওরফে কেয়া, মেহেরুন নেসা স্বর্ণা ওরফে আফরিন এবং ফারিয়া বিনতে মীম ওরফে মাইশা।
পুলিশ জানায়, নিহত মামুন অবিবাহিত, তিনি মধ্য বাসাবো এলাকায় বড় ভাই জাহাঙ্গীরের সঙ্গে থাকতেন। মামলার এজাহারে নিহত মামুনের বড় ভাই উল্লেখ করেছেন, গত রোববার বিকেলে অফিস থেকে বাসায় ফেরেন মামুন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বের হন। রাতে আর ফেরেননি। পরদিন সোমবার দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি অফিসে যাননি। এরপর তিনি বিষয়টি এসবি কর্তৃপক্ষকে জানান এবং এ বিষয়ে সবুজবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।