বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত কতজন রোগী বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছে ও কত টাকা ব্যয় হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান আপাতত দেওয়া সম্ভব নয়। তবে, নীতিমালা প্রণয়নের পর এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে। বাংলাদেশের রোগীদের বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারী দলের সদস্য ডা. মো. এনামুর রহমান। জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে চিকিৎসার জন্য কিছু সংখ্যক রোগী বিদেশে যায়। তবে, মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মূলত চারটি রোগের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য তারা বিদেশে যান। কারণসমূহ হচ্ছে, -আর্থিক স্বচ্ছলতা, বিদেশে চিকিৎসা প্রীতি, হেলথ ট্যুরিজম ও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে চিকিৎসা স্বল্পতা। তবে, এ প্রবণতা কমিয়ে আনতে দেশে সকল মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালকে আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা সুসজ্জিতকরণের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে আন্তজার্তিক মানের বেশ কিছু আধুনিক হাসপাতাল যেখানে অন্য দেশ থেকে এসে রোগীগণ চিকিৎসা গ্রহণ করার বহু নজির আছে।
আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ আব্দুল মান্নান ও মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের পৃথক দু’টি প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) মানদন্ড অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে এই মুহুর্তে এক লাখ ডাক্তার প্রয়োজন। কিন্তু এই মুহুর্তে দেশে সরকার নিবন্ধিত ডাক্তার রয়েছে মাত্র ২৮ হাজার। সরকার অচিরেই আরো ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ করলেই ডাক্তারের সংকট থেকেই যাবে না। আমাদের মেডিকেল কলেজ থেকে প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার মেডিকেল শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। তাই চাইলেই আজকেই সব সমাধান করা সম্ভব হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মো. নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একজন করে দেশে মোট ১২ হাজার ৮৩৭ জন কমিউিনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) কর্মরত আছে। বর্তমানে এক হাজার ৫৬টি সিএইচসিপি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। যা খুব শ্রীঘ্রই সম্পন্ন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।