পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটায় কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আপিল বিভাগের এক আদেশে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা কোটা থেকে তা পূরণ করার সুযোগ দেয়া হলেও ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়ে গেছে। তাই এ আদেশ অগ্রাহ্য করে বা পাশ কাটিয়ে বা উপক্ষো করে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা করা হলে আদালত অবমাননার শামিল হবে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকায় আদালতের আদেশে যতক্ষণ না পরিবর্তন আসছে, ততক্ষণ এর ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই। আদালতে ভ্যাকেট করাতে হবে। সরকার আপিল বিভাগে রিভিউ পিটিশন করলে আদালত যদি রায় দেয় তবেই পারবে। এই আদেশ বহাল থাকা পর্যন্ত (মুক্তিযোদ্ধা কোটা পরিবর্তনের) কোনো সুযোগ নাই।
আদালতের রায়ের কপি বুধবার কোটা পর্যালোচনায় সরকার গঠিত কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধাদের সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটা সম্পর্কে হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি সরকার গঠিত কমিটিকে মনে করিয়ে দিতেই আজ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
কমিটি এ বিষয়ে সচেতনতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, আমার ধারণা, উনারা (কমিটি) এটা (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) ঠিক রেখে অন্যান্য যে কোটা আছে, তা পুনর্বিবেচনা করে মতামত দিতে পারবেন। সেখানে সরকারের বিবেচনায় যা করার সেটা করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার যেহেতু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তাই আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপ করা হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী অনেক মানুষ আমাকে ফোন করেছেন। আমি তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছি- মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটায় কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না। এ নিয়ে উদ্বিগ্নের কোনো কারণ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।