Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতীক পেয়ে মাঠে প্রার্থীরা

বিশেষ সংবাদদাতা,বরিশাল | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

প্রতীক বরাদ্দের মধ্যে দিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বচনী চুড়ান্ত পর্ব শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। বরাদ্দের পরেই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারনায় নেমেও পড়েছেন। গতকাল দুপুরেই মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে নৌকার পেষ্টার নিয়ে একদল আইনজীবী নগরীর সদর রোডে প্রচারনা মিছিল বের করেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও প্রতীক বরাদ্দ পাবার পরেই নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে ছোটবড় মিছিল নিয়ে প্রতীক ও প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা মিছিল করে এলাকায় ফিরতে দেখা যায়। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নিয়ম ভঙ্গের একাধিক ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের নিশ্চুপ থাকায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিতে শুরু করেছে। তবে এসব ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, আমরা সার্বিক বিষয়ে খোজ খবর রাখছি।
এদিকে বরিশাল সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে মোট প্রার্থী ৬ জন। অপরদিকে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ৯৪জন। ৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা বিনা প্রতিদন্ধীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ৩ জনই মহাজোটের। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা বিতর্কেরও সূচনা হয়েছে। সাধারন কাউন্সিলর পদে ১৭ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের লিয়াকত হোসেন লাবলু, ১৬ নম্বরের মোশাররফ আলী খান বাদশা এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গাজী নাইমুল হোসেন লিটু ছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আয়শা তৌহিদা লুনা নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে লুনা ছাড়া ৩ কাউন্সিলরই আওয়ামী লীগের সমর্থক। বিশেষ করে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে টানা ২৩ বছর ওয়ার্ড কমিশনার ও কাউন্সিলর পদে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে সৈয়দ জাকির হোসেন জেলালের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি সকলকেই হতবাক করেছে।
মহাজোট প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহ গতকাল নগরীর সদর রোডে গনসংযোগ করেন। সন্ধার পরে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকেও মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে মিছিল বের করা হয়। আজ নগরীর ১১, ১৬ ও ৩নম্বর ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ২০দলীয় জোট প্রার্থী মুজিবুর রহমান সারোয়ার প্রতীক লাভের পরে গতকাল দুপুরে দলীয় অফিসে এসে দোয়া মোনাজাত করে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু করেন। মুজিবর রহমান সারোয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন হওয়ায় এসব নির্বাচন এখন আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই । গত কয়েকবছর আন্দোলন করে যতটুকু সরকারের মুখোশ উন্মোচন করা গেছে, তার চেয়ে বেশী মুখোশ উন্মোচন হয়েছে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। এটাকে তিনি বিএনপির বড় বিজয় বলেও উল্লেখ করেন। বরিশাল সিটিতে নির্বাচনী পরিবেশ প্রসঙ্গে সারোয়ার জানান, এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর ভ্রাতুষ্পুত্র। তারা অনেক পরাক্রমশালী। যদি তারা প্রভাব বিস্তার করেন তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন এখানে হবে না। তবে অন্যান্য সিটি নির্বাচনের মত ভোট শুরুর পর পরই নির্বাচন বর্জন করবেন কি-না জানতে চাইলে সরোয়ার বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে জনতাকে নিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ