Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গাদের জমিতে স্থাপিত বৌদ্ধগ্রাম উচ্ছেদ

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 জোরালো হওয়া আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রাখাইনে স্থাপিত বৌদ্ধগ্রাম উচ্ছেদ করেছে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পালিয়ে আসা এবং মিয়ানমারের শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে দেয়া বাড়িঘরের জমিতে ওই বৌদ্ধগ্রাম স্থাপিত হয়েছিল। একজন আইনপ্রণেতাকে উদ্ধৃত করে মিয়ানমারভিত্তিক ইরাবতি জানিয়েছে, জাতিসংঘের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সু চির নির্দেশনায় পুলিশ বৌদ্ধগ্রাম উচ্ছেদ করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতে মিয়ানমারের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থানের একদিনের মাথায় বৌদ্ধগ্রাম উচ্ছেদের খবর জানা গেল। ইনদিন-এ স্থাপিত বৌদ্ধগ্রাম গত বছরের ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলাকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বলা হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সমস্ত পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল। চলমান জাতিগত নিধনে হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে যায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিপুল পরিমাণ শরণার্থীকে ফিরিয়ে নিতে পর্যায়ক্রমে জাতিসংঘের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি করতে বাধ্য হয় মিয়ানমার। তবে রোহিঙ্গা সংকট পর্যবেক্ষণে ৭ দিনের সফরের শেষদিনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারে মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি বলেছেন, ‘যেহেতু এটি পরিষ্কার যে মিয়ানমার সরকার কার্যত কোনও অগ্রগতিই অর্জন করেনি অর্থাৎ, রোহিঙ্গাদের বঞ্চিত করার আইন, নীতি ও প্রথার বিলুপ্তিতে এবং দক্ষিণ রাখাইনকে নিরাপদ করে তুলতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, সেহেতু নিকট ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।’ জাতিসংঘ কমিশনের পক্ষ থেকে এমন বিব্রিতি প্রকাশের একদিনের মাথায় সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণাঞ্চলের মংডু শহরের কাছে রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে দেয়া গ্রামে স্থাপন করা বৌদ্ধ গ্রাম উচ্ছেদ করেছে পুলিশ। ইরাবতি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গাদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ