মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমকে বাংলাদেশের সঙ্গে একীভূত অর্থাৎ স্থায়ীভাবে গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। তারা মিয়ানমারের, যেখান থেকে তারা পালিয়ে এসেছে, বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বুধবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানান। আসিয়ানের ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে অংশ নিতে হ্যানয় গেছেন তিনি।
গত বছরের আগস্ট মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ ওই অভিযানকে জাতিগত নিধন অভিযান বলে অভিহিত করেছে।
গত বছরের নভেম্বরে দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে একটি চুক্তি করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। কিন্তু তা আজও শুরু হয়নি। উল্টো রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গারা এখনও সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
শহিদুল হক বলেন, ‘আমরা তাদের বাংলাদেশে একীভূত করার কথা ভাবছি না। তারা মিয়ানমারের বাসিন্দা।’
মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে উন্নত দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত কিংবা অন্য কোনো দেশের পুনর্বাসিত না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পেই অবস্থান করবে।
গত মাসে জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত মিশন বলেছে, রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর মানসেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও গণধর্ষণ চালিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান ও অন্য পাঁচ জেনারেলের এ জন্য বিচার করার সুপারিশও করে মিশন।
কিন্তু মিয়ানমার শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তারা বলছে, তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
নেইপিদোর দাবি, রোহিঙ্গাদের ফেরত আসতে তারা ট্রানজিট সেন্টার নিমার্ণ করেছে। কিন্তু জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা বলছে, এটি রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ নয়