পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ৩ মাসের মধ্যেই আওয়ামী লীগ সরকারের বিষয়ে ফয়সালা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, আর বেশি সময় নাই। মাত্র তিন মাস। এই সময়ের মধ্যেই এই সরকারের বিষয়ে যা কিছু করার করতে হবে। আমরা যদি সঠিক কর্মসূচি দিতে পারি এবং মাঠে থাকি তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারবো এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো। গতকাল (রোববার) জাতীয় প্রেসক্লাবে বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক ফোরাম কেরাণীগঞ্জ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমি বিশ্বাস করি এই তিন মাসে আমাদের সিনিয়র নেতারা যারা আছেন উনারা যথাযথভাবে কর্মসূচি দেবেন এবং আমরা যারা মাঠে থাকি তারা কার্যক্রম পরিচালনা করবো এবং কর্মসূচি সফল করবো। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বেগম জিয়া বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছেন। যার স্বামী স্বাধীনতার ঘোষক এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাঁর জন্য কি আমরা কিছুই করতে পারবো না, একটা লাঠির বাড়িও খেতে পারব না, একদিন জেলও খাটতে পারবো না! শুধু কি একজনের ওপরই সব দায়ভার চাপিয়ে দিয়ে গা বাঁচিয়ে থাকবো, নিরাপদে থাকবো আমরা! তাই আসুন ভেদাভেদ ভুলে এই তিনটা মাস কাজ করে ফয়সালাটা আগামী ৩ মাসেই করবো এমন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে আপনারা যা যা করেছেন তার একবিন্দুও বেশি আমরা করবো না। আপনারা দেশে ১৭৪ দিন হরতাল করেছেন। আমরা ১৭৫ দিনে যাব না। ১৭৪ দিনেই শেষ করবো। আপনারা জনতার মঞ্চ বানিয়েছেন, সচিবকে রাখছেন, নামিয়েছেন। আমরা সচিবকে নামাবো কিনা এই মুহূর্তে বলবো না, তবে এ জিনিসটা আমাদের মাথায় থাকবে।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে দুদু আরও বলেন, সংবিধানকে আপনারা যেভাবে কাটাছেঁড়া করে নিজেদের সংবিধান করেছেন সেটা আমরা করবো না। আমরা গণতন্ত্রকে যোগ করবো, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো। তা করতে গিয়ে যদি চার লাখ হাজার কোটি টাকার চুরির জন্য দোষী সাব্যস্ত হোন তাহলে আমাদের করার কিছু থাকবে না। আপনারা ইলিয়াস আলীসহ যাদেরকে গুম করেছেন আমরা শেষ পর্যন্ত চাইবো তাদেরকে ফিরিয়ে আনার। তবে আপনারা মনে করেছেন সারাজীবনের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন। একটু পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখেন আপনাদের চেয়ে অনেক জনপ্রিয় ও ক্ষমতাধর নেতা এই দেশের মাটিতে স্বৈরতান্ত্রিক পথে পা রাখার পরে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এ মাটি (বাংলাদেশ) বড় নির্মম ভালোবাসায় যেমন সিক্ত হয় আবার গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গেলে লৌহকঠোরও হয়।
স্বেচ্ছাসেবক ফোরাম কেরানীগঞ্জ এর সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।