পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে রয়েছেন দুই সাবেক মেয়র। দু’জনেই হেভিওয়েট প্রার্থী। এর আগের নির্বাচনগুলোতে তাদের দু’জনের জয় পরাজয়ের স্বাদ রয়েছে। এবারো তারা নির্বাচনী মাঠে। চলছে বিরামহীন প্রচার প্রচারণা। জাতীয় স্থানীয় দৈনিক অনলাইন আর টেলিভিশন গুলোতে শুরু হয়েছে প্রতিবেদন। গত শুক্রবার রাজশাহী কলেজ মাঠে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের পক্ষ থেকে এদের দু’জনেেক মুখোমুখি করা হয়। ধারণ করা হয় অনুষ্ঠান। সঞ্চালকের প্রশ্নের মাঝে দু’জনই নিজেদের স্বপক্ষে কথা বলেন। তারা দায়িত্ব পালনকালে কি কি করেছেন। আর কি কি করতে পারেননি। কেন পারেননি। এসব বিষয় নিয়ে কথার তুবড়ি ছোটান।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন তার সময়ের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। আবারো সুযোগ পেলে নগরীর চেহারা বদলে দেবার অঙ্গীকার করেন। তার স্বপ্ন গুলো তুলে ধরেন। অন্যদিকে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলও তার স্বল্প সময়ে কি কি করেছেন তার ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তার মেয়র পদের মেয়াদ পাঁচ বছর হলেও সরকারী রোষানলের কারনে অর্ধেক সময় মেয়রের চেয়ারে বসতে পারেননি। এরপর মামলা কারাবাস সবই সইতে হয়েছে। চেয়ার ফেরত পেতে চলেছে আইনী লড়াই। সেখানে বিজয়ী হয়ে চেয়ারে বসার সময় পেয়েছেন খুব কম। তাছাড়া সরকারী রোষানলের কারনে কাঙ্খিত উন্নয়ন বরাদ্দ আসেনি। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্বেও অনেক কিছু করতে পারেননি। তারপরও যা করেছেন তা মন্দনয়। ভবিষ্যতে আবারো মেয়র হলে গ্রীণ সিটি ক্লীন সিটি হিসাবে গড়ে তোলার কথা বলেন। তাছাড়া তার দল বিএনপির উপর নিপীড়ন নির্যাতনের কথাও বলেন। নির্বাচন ও আন্দোলন এ দুই নিয়ে ব্যস্ত। এ দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর বক্তব্য নগরবাসী বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছেন, পড়ছেন। পক্ষে বিপক্ষে আলোচনায় চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন। চলছে নানা রকম মন্তব্য।
লিটন বলছেন, তিনি মেয়র থাকার সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে বরাদ্দ নিয়ে এসে উন্নয়ন করেছেন। নির্বাচিত হলে আরো বেশী বরাদ্দ আনবেন। যেটি বুলবুল পারেনি। অন্যদিকে বুলবুল পাল্টা বলছেন তিনি রাজরোষের কারনে বরাদ্দতো পাননি। উল্টো বার বার বরখাস্ত করা হয়েছে। কারাবরণ করতে হয়েছে। এমন বাহাসে সাধারন মানুষের মন্তব্য আমরা রাজরোষানলে পড়ে উন্নয়ন বঞ্চিত হতে চাই না। কারো কারো কথা এটা ঠিক কাজ নয়। যদি এমন হতো ওয়ার্ড কাউন্সিলর ভোট হবে। আর যেদল যখন ক্ষমতায় থাকবে তখন তার একজন যোগ্য মানুষকে মেয়রের চেয়ারে বসিয়ে দেয়া হবে। তাহলে রোষানলে পড়তে হবেনা। বরাদ্দ আসবে উন্নয়ন হবে। নগরবাসী চায় উন্নয়ন।
টিভি চ্যানেলটির অনুষ্ঠান ধারন শেষে লিটন বুলবুল ফেরার সময় হাসিমুখে দু’জনে হাত মেলান, কোলাকুলি করেন। ছবিটি ভাইরাল হয়। দুই হেভিওয়েট নেতার এমন দৃশ্যে মানুষের মন্তব্য ভোটের শেষদিন পর্যন্ত যেন এমন হাসিমুখ থাকে সবার মাঝে। খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনের বিষয়টা সাধারন মানুষের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। সবার প্রত্যাশা রাজশাহী শান্তির নগরী। যেন শান্তই থাকে। মানুষ তাদের ভোটাধিকার বাধা বিঘœহীন ভাবে প্রয়োগ করতে পারে।
মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আ.লীগের লিটনকে সমর্থন দিলো জাতীয় পার্টি
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে সমর্থন দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খায়রুজ্জামান লিটনের হাতে ফুলের তৈরি নৌকা উপহার দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেয় জাতীয় পার্টির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ওয়াশিউর রহমান দোলন বলেন, রাজশাহীর উন্নয়নের স্বার্থে কেন্দ্রের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা এখন খায়রুজ্জামান লিটন ভাইয়ের পক্ষে কাজ করবেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতীয় পার্টির সমর্থন দেওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা জয়ের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেলাম। আগামীতে আমরা কাঁধে কাঁধ রেখে সবাই একসাথে রাজশাহীর উন্নয়নে কাজ করবো। বড় বড় প্রকল্প এনে রাজশাহীকে মেগা সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সকালে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।