Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ই-ধূমপান রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ

মতবিনিময় সভায় স্পিকার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকার সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। নতুন বাজেটেও তার প্রতিফলন রয়েছে। সরকারের এই কাজে সহযোগিতার জন্য বেসরকারী সংগঠনগুলোকে আরো সক্রিয় হতে হবে। বিশেষ করে ই-ধূমপান প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহŸান জানান। জাতীয় সংসদ ভবনস্থ স্পিকারের দপ্তরে আয়োজিত ওই সভায় অংশ নেন জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুমানা হক, আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, সচেতন সংস্থার প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন, সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, পার্লামেন্ট নিউজের সাকিলা পারভীন এবং ডাবিøউবিবি ট্রাস্টের সৈয়দা অনন্যা রহমান ও সৈয়দ সাইফুল আলাম শোভন।
সভায় স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তাই জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার ইতোমধ্যে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) বাস্তবায়নকে একটি টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই লক্ষ্য অর্জনে সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সুস্থ্য জাতি গঠনে সরকার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তামাক বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে নয় কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। যা তামাক বিরোধী কার্যক্রমে ব্যয় হবে। তিনি আরো বলেন, সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় তামাকজাত দ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তাই তামাক বিরোধী প্রচারণায় সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এসময় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ তামাক বিরোধী ক্যাম্পেইনে তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি জানান, সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে সভা- সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চলছে। তবে তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি দলের নির্বাচনী ইশতেহারে একটি সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার থাকা প্রয়োজন। এসময় তাঁরা বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করার জন্য কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ, তামাক পণ্য ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, সংসদ সদস্যদের তামাক বিরোধী প্রচারনায় সম্পৃক্তকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধূমপান

৪ নভেম্বর, ২০২২
১ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ