Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভিবাসন নীতি থেকে সরে এলেন মার্কেল

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

শেষ পর্যন্ত টিকে গেলো জার্মান সরকার। আপাতত জার্মানির জোট সরকার ও দুই রক্ষণশীল দলের জোট অস্তিত্বের সঙ্কট থেকে রেহাই পেল। সোমবার রাতে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার তাদের সংঘাত মিটিয়ে নিলেন। জার্মানির সীমান্তে অবৈধ শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর দাবিতে অটল থাকার পর বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের নেতা সেহোফার শেষ পর্যন্ত এক আপোষ মীমাংসা মেনে নিলেন। তবে ‘ঐকমত্য’ সত্তে¡ও মার্কেল ও সেহোফার একসঙ্গে সাংবাদিকদের সামনে এলেন না। সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে সেহোফার বলেন, তিনি পদত্যাগ না করে মন্ত্রী থেকে যাচ্ছেন। সোমবারের বোঝাপড়ার আওতায় বাভেরিয়া-অস্ট্রিয়া সীমান্তে অবৈধ শরণার্থীদের কিছু অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রে আটক রাখা হবে। তারপর অস্ট্রিয়ার সম্মতি পেলে তাদের ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, অস্ট্রিয়া আগেই জার্মানির সীমান্ত থেকে বিতাড়িত শরণার্থীদের গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। জার্মানিতে সোমবারের বোঝাপড়ার পরেও অস্ট্রিয়া সীমান্তে সুরক্ষার উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ অবৈধ শরণার্থীদের শনাক্ত করে সীমান্তে এমন কেন্দ্রে আটক রাখলেও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছাড়া তাদের সেই দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে না, যেখানে তারা নিজেদের নথিভুক্ত করেছিল। এদিকে গত কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক অস্থিরতা এই মুহূর্তে দূর হলেও আরও কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। প্রথমত জার্মানির বর্তমান জোট সরকারে ৩টি শরিক দল রয়েছে। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে মার্কেল-সোহোফার সংঘাতের সময়ে এসপিডি দল প্রায় নীরব ছিল। এবার এই ‘সমাধানসূত্র’ কার্যকর করতে হলে এসপিডি দলেরও সম্মতির প্রয়োজন। অথচ ২০১৫ সালে ঠিক একই প্রস্তাব নস্যাৎ করে দিয়েছিল এসপিডি। অন্যদিকে সেহোফার এ যাত্রা নিজের মুখরক্ষা করতে পারলেও তার সঙ্গে চ্যান্সেলর মার্কেলের ব্যক্তিগত সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। ডয়েচে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্কেল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ