Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

না.গঞ্জে শিশু রিফাত হত্যা দুলাভাইসহ দুই জনের ফাঁসি

স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৮, ৬:০৪ পিএম


 নারায়ণগঞ্জে খুন হওয়া ঝালকাঠির নলছিটির শিশু আশিকুর রহমান রিফাত (১১) হত্যাকান্ডের ঘটনায় দুলাভাই ও তার সহযোগিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে মামলায় এজাহারকারি, ম্যাজিস্ট্রেট, ডাক্তারসহ ১৩ জন ও আসামী পক্ষে ৩ জন সাফাই সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা রেকর্ড পর্যালোচনা করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এর বিচারক মোহাম্মদ রবিউল আউয়াল রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, দুলাভাই মহিউদ্দিন হাসানাত ও সাইফুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় আদালতে মহিউদ্দিন হাসনাত উপস্থিত ছিলেন। আর পলাতক রয়েছেন সাইফুল ইসলাম।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত অতিরিক্ত পিপি কে এম ফজলুর রহমান এবং আসামী পক্ষের আব্দুল বারী ভুঁইয়া। রায় প্রদানের পর সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নিহত রিফাতের বাবা তোফাজ্জল হোসেন। তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন এবং এই রায় দ্রæত কার্যকরের দাবি জানান।
নিহতের পরিবার ও মামলা স‚ত্রে জানা যায়, নলছিটির ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন তার একমাত্র ছেলে আসিকুর রহমান রিফাতকে নিয়ে ঢাকার মিরপুর-২ নম্বরের মনিপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। তাদের সঙ্গে মেয়ে ও মেয়ের জামাতাও থাকতেন। তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় জামাতা মহিউদ্দিন হাসানাতের। এতে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত হয় জামাতা হাসানাত।
এরই জের ধরে ২০১২ সালের ১০ আগস্ট বাসার পাশের গলিতে বিকাল ৩টার দিকে খেলার সময় রিফাতকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে ওঠায় হাসানাত। দুলাভাই হাসানাত এবং ৩০ হাজার টাকায় ভাড়া করা দুই খুনি সাইফুল ইসলাম ও মিঠু শিশু রিফাতকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার নাভানা ভ‚ঁইয়া সিটিতে নিয়ে যায়। নির্জন ওই স্থানে রাতে রিফাতের হাত-পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে তারা। রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ রিফাতের জবাই করা লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জের এসআই জামাল হোসেন বাদি হয়ে আজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপরই মামলার তদন্তকালে রিফাতের দুলাভাই মহিউদ্দিন হাসনাত ও তার সহযোগি সাইফুল আটক হয়। এবং এ হত্যার দায় স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনোয়ারা বেগমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দিতে দুলাভাই মহিউদ্দিন হাসনাত জানিয়েছিলেন, তার শাশুড়ি তাঁকে ঝাড়ু পেটা করায় এর প্রতিশোধ নিতে ভাড়াটে খুনি সাইফুল গংদের সহযোগিতায় ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে রিফাত (১২) কে অপহরণ করে হত্যা করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফাঁসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ