বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছেন স্পেনের ২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময়ে স্কোরলাইন ১-১ ড্র থাকার পর রাশিয়ার কাছে পেনাল্টি ভাগ্যে ৪-৩ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় স্পেন। এর কয়ের ঘন্টা পর আর্ন্তজাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন স্প্যানিশ কিংবদন্তি মিডফিল্ডার।
বিশ্বকাপের পরই যে তিনি স্পেনের জার্সি খুলে রাখবেন এই ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন সাবেক বার্সেলোনা কিংবদন্তি। শনিবার শেষ ষোলর ম্যাচে ৬৭তম মিনিটে বদলি নামেন ৩৪ বছর বয়সী। স্পেনের হয়ে এটি ছিল তার ১৩১তম ম্যাচ। পেনাল্টি শুট আউটের ম্যাচে প্রিয় জার্সিতে নেয়া শটে গোল করেন ইনিয়েস্তা। কিন্তু কোকে ও ইগো আসপাস পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারায় রাশিয়া থেকে আগেভাগেই বিদায় নিতে হয় ২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচ শেষে ইনিয়েস্তা বলেন, ‘বাস্তবতা হলো এটাই জাতীয় দলের হয়ে আমার শেষ ম্যাচ। সবকিছুরই শুরু ও শেষ আছ্।ে কখনো বিদায়টা অপনি যেভাবে চাইবেন সেভাবে হবে না।’
২০০৬ সালে স্পেনের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর ১২ বছরের ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ ছাড়াও ২০০৮ ও ২০১২ ইউরো চ্যাম্পিয়ন্সশিপ শিরোপা জিতেছেন ইনিয়েস্তা। স্পেনের জার্সিতে তাকে হারতে দেখা গেছে মাত্র ১৫ বার! জয় ৯৬ ম্যাচে, বাকি ১৫টিকে ড্র। এসময় গোলও করেছেন ১৩টি। এত প্রপ্তির পরও শেষটা প্রত্যাশামত না হওয়ার আক্ষেপ ঝরে পড়েছে তার কন্ঠে। একবুক হতাশা নিয়েই দিনটাকে ‘ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুখের দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। ফুটবল ক্যারিয়ারে কোন আক্ষেপ নেই জানিয়ে বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে একটা অসাধারণ অধ্যায়ের শেষ হলো। সব মিলে অবশ্যই এটা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুখের দিন।’
গত ক্লাব ফুটবল মৌসুমে বার্সায় ২২ বছরের ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়ে জাপানের ভিসেল কোবেতে নাম লেখান ইনিয়েস্তা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বার্সেলোনার হয়ে ৬৭৪ ম্যাচে অংশ নিয়ে জিতেছেন ৩২টি ট্রফি। স্প্যাানিশ কোচ ফার্নান্ডো হিয়েরা তাকে ‘ইতিহাসের অন্যতম কিংবদন্তি খেলোয়াড়’-এ ভূষিত করেন।
হিয়েরার কথার সঙ্গে দ্বিমত হওয়ার মত ফুটবল বোদ্ধা খুঁজে পাওয়া ভার। ইনিয়েস্তার দুর্ভ্যাগ্য এই যে, তিনি লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর যুগে জন্মেছেন। এই মন্তব্য অনেক ফুটবল বোদ্ধারই। নইলে একাধিকবারই তার হাতে উঠতে পারত ব্যালন ডি’অর কিংবা ফিফা বর্ষসেরা ট্রফি। তবুও যুগের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে ইতিহাসে স্বরণীয় হয়ে থাকবেন মাঝমাঠের এই নিঁখুত কারিগর। বিশেষ করে বিশ্বকাপ ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে করা তার সেই ঐতিহাসিক গোলের স্মৃতি কিভাবে ভুলবে লা রোঁজারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।