বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
ম্যাচ শুরু না হতেই স্কোরলাইন ১-১! মাত্র চার মিনিটেই। বিশ্বকাপ ইতিহাসেই এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে মাত্র একবার। সেটাও বেশি আগে নয়, ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচে।
নিজনি নবগোরোদে এই নাটক চলল পুরো ১২০ মিনিট। উহু, তার চেয়েও বেশি। আসল নাটকের দেখা মিলেছে তো ১২০ মিনিট পরেই। শুরুর ঐ চার মিনিটের পর আর কোন গোলই করতে পারেনি ডেনমার্ক ও ক্রোয়েশিয়া। মাঝের এই সময়ে কেউ কাওকে চুল পরিমাণ ছাড় দেয়নি। আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের ম্যাচটি ছিল উপভোগ্য। তা নাটকীয়তার চরমে পৌঁছে ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথে।
অতিরিক্ত সময়েরও শেষ সময়ে পেনাল্টি পেয়ে তা মিসও করেন লুকা মড্রিস। ক্রোয়েশিয়াও জয়ের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে। পরে অবশ্য আরো নাটকীয় শুট আউটে শেষ হাসি হেসেছেন রাকিটিচ-মড্রিচরাই, ডেনমার্ককে ৩-২ ব্যবধানে কাঁদিয়ে।
পেনাল্টি কিকের শুরুই হয় দুই দলেরই মিসের মাধ্যমে। তিনটি করে শট নেয়ার পর স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২। এরপর আবার দুই দলের দুই মিস। শেষ শটে নেমে আসে দুই দলের বিশ্বকাপ ভাগ্য। নিকোলাই ইয়ুর্গেসনকে রুখে দিয়ে নায়ক বনে যান ক্রোয়েট গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিক।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে তিনটি পেনাল্টি রুখে দেয়ার কৃতিত্ব দেখান ৩৩ বছর বয়সী। ২০০৬ সাল থেকে রেকর্ডটা একা বয়ে আসছিলেন পর্তুগালের রিকোর্ডো, ২০০৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।
নাটকের শেষ রিলটা ছিল ইভান রাকিটিসের হাতে। সফল শটে ক্রোয়েশিয়ার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেন বার্সা মিডফিল্ডার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।