ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে আচমকা শটে জর্ডান পিকফোর্ডের পরীক্ষা নেন ইউরি টিলেমানস। ২৫ গজ দূর থেকে মোনাকো মিডফিল্ডারের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক।
তিন মিনিট পর পিকফোর্ডের ভুলে গোল খেতে বসেছিল ইংল্যান্ড। একটি ক্রস হেড করে ছয় গজ বক্সে ফেলেন মারোয়ান ফেলাইনি। জটলার মধ্য থেকে গোলের চেষ্টা করেন মিচি বাতসুয়াই। ইংলিশ গোলরক্ষকের পায়ের নিচ দিয়ে বল যাচ্ছিল জালে। তবে গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দলকে রক্ষ করেন গ্যারি ক্যাহিল।
২৬তম মিনিটে আবার সুযোগ আসে বেলজিয়ামের সামনে। বাতসুয়াইয়ের শট দারুণ ব্লকে ব্যর্থ করে দেন জন স্টোনস। পরে কর্নার থেকে বুক দিয়ে নামিয়ে জোরালো শট নেন ফেলাইনি। এবারও চমৎকার ব্লকে দলকে বাঁচান স্টোনস।
প্রথমার্ধে ১৯৬৬ আসরের চ্যাম্পিয়নরা লক্ষ্যে রাখতে পারেনি একটি শটও। তাদের সেরা সুযোগ আসে ৩৪তম মিনিটে। তবে কর্নার থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রুবেন লফটাস-চিক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। ষষ্ঠ মিনিটে ডি-বক্স থেকে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন আদনান ইয়ানুজাই। দেশের হয়ে এটাই রিয়াল সোসিয়েদাদ ফরোয়ার্ডের প্রথম গোল।
৬৬তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েও সমতা ফেরাতে পারেননি মার্কাস রাশফোর্ড। জেমি ভার্ডির কাছ থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড বল পাওয়ার সময় সামনে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। কোনাকুনি শটে গোলের চেষ্টা করেন রাশফোর্ড। ঝাঁপিয়ে কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন কোর্তোয়া।
পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণের ধার কিছুটা বাড়ায় ইংল্যান্ড। তবে বেলজিয়ামের জমাট রক্ষণ কিংবা ছন্দে থাকা কোর্তোয়াকে খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।
আগামী সোমবার কোয়ার্টার-ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে বেলজিয়াম খেলবে জাপানের বিপক্ষে। পরের দিন ইংল্যান্ড খেলবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে।
পানামা-তিউনিসিয়া
সারানস্কে একই সময়ে নিয়মরক্ষায় নামা গ্রুপের অন্য ম্যাচে ২-১ গোলে পানামাকে হারিয়েছে তিউনিসিয়া। অভিষেক আসরে বিশ্বকাপ থেকে জয় নিয়ে ফেরা হল না পানামার। শুরুতে এগিয়ে গিয়েও দলটি বিদায় নিল শূন্য হাতে।
মরদোভিয়া অ্যারেনায় ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে সৌভাগ্যপ্রসূত গোলে এগিয়ে যায় পানামা। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মিডফিল্ডার হোসে লুইস রদ্রিগেসের নেওয়া জোরালো শটে ডিফেন্ডার ইয়াসিন মেরিয়াহর পায়ে লেগে দিক পাল্টে বল জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষকের।
এবারের আসরে এটা নবম আত্মঘাতী গোল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ৫০তম।
৫১তম মিনিটে ফখরেদ্দিন বেন ইউসুফের গোলে সমতায় ফেরে তিউনিসিয়া। ডান দিক থেকে ওয়াহবি খাজরির পাস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে অনায়াসে ঠিকানায় পাঠান এই ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা ২৫০০তম গোল।
৬৬তম মিনিটে মিডফিল্ডার আনিস বাদরির পাস পেয়ে জয়সূচক গোলটি করেন খাজরি। আসরে এই ফরোয়ার্ডের এটা দ্বিতীয় গোল। জাতীয় দলের হয়ে তার চতুর্দশ গোল।